ঢাকা: ঝালকাঠির লঞ্চ দুর্ঘটনায় ইনস্টিটিউটে ভর্তি সবারই শ্বাসনালী দগ্ধ হয়েছে। তাদের শরীর সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মালদ্বীপ থেকে আমাকে ফোন দিয়ে দগ্ধদের কী অবস্থা জানতে চেয়েছেন। তাদের সব ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছেন।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
সামন্ত লাল বলেন, সন্ধ্যা পর্যন্ত ছয়জনকে বার্নে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে ভর্তি রাখা হয়েছে। সাদিক নামে একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মালদ্বীপ থেকে ফোন দিয়ে দগ্ধদের খোঁজ-খবর নিয়েছেন। তাদের সার্বিক চিকিৎসার জন্য আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন।
এদিকে ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মাহমুদুল কবির বলেন, গত ২০/৩০ বছরেও লঞ্চে এমন দুর্ঘটনা ঘটেনি। এত বড় দুর্ঘটনা ঘটায় এত বেশি পরিমাণ রোগী সেখানকার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়নি। সেখানে অন্য বিভাগের চিকিৎসকরা দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা দিয়েছে। এজন্য ঢাকা থেকে সাত সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২১
এজেডএস/আরবি