ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কমলাপুর রেলস্টেশনটা যন্ত্রণার কারণ: তাজুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২১
কমলাপুর রেলস্টেশনটা যন্ত্রণার কারণ: তাজুল

ঢাকা: কমলাপুর রেলস্টেশন আমাদের জন্য সবচেয়ে বেশি যন্ত্রণার কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, সময়ের ব্যবধানে আমরা এখন এসব বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে পারি।

আমাদের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে রিভিউ সংক্রান্ত গঠিত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন,  গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ উদ্দিন, রাজউক চেয়ারম্যান (সচিব) এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরিসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা।  

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য জনগণের অংশ গ্রহণ অপরিহার্য। জনগণ যখন আমাদের পাশে থাকবে তখন তারা বুঝবে যে আমরা ভালো কাজ করছি। কোনো পক্ষের ক্ষতির জন্য ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) পাস করা হচ্ছে না। দেশে বসবাসরত সব শ্রেণি পেশার মানুষের সীমাবদ্ধতার মধ্যে যতটুকু সুবিধা নিবিঘ্নে দেওয়া যায় তার সবগুলো রাখা হয়েছে। এ প্ল্যানে সবাইকে যথাযথ সম্মান করা হয়েছে। ব্যবসায়ী ও বিল্ডারদের অবদান যাতে খর্ব করা না হয় সে বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।  

তিনি বলেন, কেউ যদি মনে করেন এখানে আরও বহুতল ভবন নির্মাণ করতে হবে। তাহলে দৈনদিন জীবনযাপন ও চলাচলের উপযুক্ত অবস্থা থাকবে না। সেসব কারণে আমাদের কিছু সংশোধন করতেই হয়েছে ড্যাপ প্ল্যানের মধ্যে। মানুষের কল্যাণের কথা বিবেচনা করেই ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) করা হয়েছে।

রেলওয়ে স্টেশন ও সদরঘাটের বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল বলেন, এক সময় শহর ছিল ছোট, মানুষের সংখ্যা ছিল কম। এজন্য রেলওয়ে স্টেশনকে কেন্দ্র করে কিন্তু উন্নয়নগুলো হয়েছে। এখন এমন একটা জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনটা আমাদের জন্য সবচেয়ে বেশি যন্ত্রণার কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। সময়ের ব্যবধানে আমরা এখন এসব বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে পারি। সে চিন্তা এভাবে বিসমিল্লাহ আকারে নয়। আমাদের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে। এবছর এতটুকু করবো পরের বছর এতটুকু করবো। এতে করে আস্তে আস্তে আমাদের চাহিদাগুলো পূরণ হয়ে যাবে। এসব বিষয় মাথায় রেখে কাজ করতে হবে।

বাস-বে বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল বলেন, আধুনিক নগরীতে একটা বাস বে দরকার। এটা করতে আমাদের অনেকগুলো সীমাবদ্ধতা রয়েছে। মহাখালী থেকে মতিঝিল পর্যন্ত রাস্তার পাশে জায়গা পাওয়া কঠিন। বাসের স্প্রিড, ট্রাফিকসহ সব কিছু বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।  

বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল বলেন, যেসব নির্মাণ হচ্ছে। সেগুলো নির্মাণ সময়ে আমাদের কমপ্লাইন্সগুলো যথাযথভাবে মানতে হবে। যদি না মানি তাহলে সে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাবে। এ বিষয়গুলো আমাদের এড্রেস করার সময় এসে গেছে। এ বিষয়ে রাজউককে বলবো তারা যেসব বিল্ডিং অনুমোদন দেন তার সঙ্গে পরিবেশকে নিরাপদ রেখে এসব নির্মাণকাজ করবেন। এ বিষয়গুলো যেন নিশ্চিত করা হয়। রাজউকের চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন মন্ত্রী।  

তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতে নির্মাণ কাজ হচ্ছে, শুধু বাংলাদেশে এক মাত্র হচ্ছে না। কোনো দেশেতো এমন হচ্ছে না। তাহলে আমরা কেন এটা ঠিক করতে পারি না। সিটি করপোরেশন তারা তাদের কাজ করছে। যদি না করে থাকে তাহলে তাদের ধরা হবে। আমি রাজউককে বলবো আপনারা নির্মাণের বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে নেবে। যখন কোনো স্থাপনা নির্মাণের জন্য অনুমোদন পাবে তখন পরিবেশের নিরাপত্তার বিষয়টিকে নিশ্চিত করে দিতে হবে। তা না হলে অনুমোদন দেওয়া হবে না। এজন্য কিছু সুবিধা বাড়াতে হবে রাজউককে।  

তাজুল ইসলাম বলেন, পুরো ঢাকা সিটির জন্য বারবার প্ল্যান না করে, আমরা বিসমিল্লাহ আকারে করছি। এর ফলে আমাদের অনেকগুলো সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এ সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে। এক্ষেত্রে রাজউক ও পূর্ত মন্ত্রণালয় লিড দিতে পারে। অন্যান্য সহযোগী হিসেবে তারা কাজ করবেন। একাজটা আমাদের করতে হবে। না করলে এ শহর আমাদের বসবাসের জন্য হুমকির সম্মুখীন হয়ে যাবে।  

আরও পড়ুন>>

>>> ড্যাপের অধীনে ১০০ তলা ভবনেও আপত্তি নেই মন্ত্রীর

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২১
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।