ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘অদক্ষ মানুষের প্রয়োজনীয়তা এক সময় হারিয়ে যাবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২১
‘অদক্ষ মানুষের প্রয়োজনীয়তা এক সময় হারিয়ে যাবে’

ঢাকা: অদক্ষ মানুষের প্রয়োজনীয়তা এক সময় হারিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।

বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে আগারগাঁওয়ে বিনিয়োগ ভবনে বঙ্গবন্ধু জাতীয় দক্ষতা প্রতিযোগিতা ২০২১ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) দুলাল কৃষ্ণ সাহা।

তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, বাংলাদেশ আজ ৫০ বছরে উত্তীর্ণ হয়েছে। কিন্তু এই যে দক্ষতা আইনি কাঠামো ২০১৮ সালে হয়েছে। আমরা বিভিন্ন সময়ে যারা শিক্ষা নিয়ে কাজ করছি, দক্ষতা নিয়ে কাজ করছি আমরা প্রতিদিন দক্ষতার প্রয়োজনীয়তা মনে করছি। এখন আমরা যত বেশি গ্লোবালি কানেক্টেড হচ্ছি, যত বেশি ফরেন ইনভেসমেন্ট, ফরেন ট্রেডের কথা বলছি, নিজস্ব ইন্ডাস্ট্রিলাইজেশনের কথা বলছি আমরা ততবেশি দক্ষতায় এসেছি।  

তিনি আরও বলেন, একজন দক্ষ মানুষ আর একজন অদক্ষ মানুষের মধ্যে তফাতটা হচ্ছে এক এবং একশ। অদক্ষ মানুষ হচ্ছে এক এবং দক্ষ মানুষ হচ্ছে একশো। অদক্ষ মানুষের প্রয়োজনীয়তা হারিয়ে যাচ্ছে। একই সময়ে একই ইনভেস্টমেন্টে কত বেশি প্রডাক্টিভিটি অর্জন করতে, কত বেশি সম্পদ তৈরি করতে পারবেন এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সচিব বলেন, এখনকার দিনে সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এন্টারপ্রিনিউরশিপ যেমন চেঞ্জ হচ্ছে, যন্ত্রপাতি যেমন আপডেট হচ্ছে নতুন নতুন ইনোভেশন আসছে অথচ আমরা যদি মান্ধাতার আমলের এনালগ প্রযুক্তির চিন্তাপ্রসূত যে কাজগুলো সেটি যদি এই গ্লোবালাইজেশনের যুগে আমরা করতে চাই তাহলে আমরা পিছিয়ে পড়বো অন্যদের তুলনায়।

তিনি আরও বলেন, আমরা এখন উন্নতশীল দেশের কাতারে চলে গেছি, অসাধারণ অর্জন বাংলাদেশের সামনে একটি সুন্দর সময় অপেক্ষা করছে। এই সুন্দর সময় কাজে লাগানোর জন্য তারুণ্য শক্তিকে আমাদের কাজে লাগানোর জন্য আমাদের দক্ষতা অর্জনটা জরুরি। আমাদের বেশি করে সেই কাজ করতে হবে। আমরা দক্ষতা অর্জনে সবাই নিবেদিত থাকতে চাই বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, দেশপ্রেম, দক্ষ ও উৎপাদনশীল মানুষ হবে সোনার বাংলা গড়ার সোনার মানুষ। সরকার দক্ষতার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। এজন্য দেশে ২৩টি মন্ত্রণালয় দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছে বলে জানান।  

তিনি বলেন, প্রতি বছর ২৫ লাখ লোক কর্মসংস্থানে যুক্ত হয়। এখান থেকে ৭ লাখ লোক বিদেশে যায়। বিদেশ কর্মরতের কাছ থেকে আমরা যে ক্যাপিটাল পাচ্ছি তা অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। আমাদের দক্ষতার অভাবে এটা কম পাচ্ছি। তাই আমরা দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছি। পেশায় দক্ষ মানুষ বেশি আসলে উন্নয়নশীলতা বাড়বে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সভাপতি বক্তব্যে দুলাল কৃষ্ণ সাহা বলেন, দেশে বিনিয়োগ বাড়ছে এজন্য দক্ষ লোকের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল হয়েছে বিদেশিদের প্রচুর রেমিটেন্স আসছে এটাকে কাজে লাগাতে হলে দক্ষ লোকের প্রয়োজন রয়েছে। আমরা দক্ষতা বাড়াতে কাজ করছি বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে ১৩টি ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের মধ্যে ক্রেস্ট ও সনদ বিতরণ করা হয়।

জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়নে বিজয়ীদের নিয়ে ঢাকায় ছয় মাসব্যাপী গ্রুমিং সেশন অনুষ্ঠিত হবে এবং পরবর্তীতে তারা চীনের সাংহাইতে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ার্ল্ড স্কিলস কম্পিটিশন-২০২২ এ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২১
এসএমএকে/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।