ঢাকা: বাংলাদেশে নিযুক্ত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ রেজা নাফার বলেছেন, জেনারেল কাসেম সোলায়মানি এমন এক ব্যক্তি ছিলেন, যিনি শাহাদাতের পর লাখ লাখ মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন গ্রামের অধিবাসী ও সাধারণ পরিবারের সদস্য।
তিনি বলেন, ইরাক, সিরিয়া, লেবানন, ইয়েমেন ও আফগানিস্তানসহ অনেক দেশ তাদের নিরাপত্তা বিধানের ক্ষেত্রে জেনারেল কাসেম সোলায়মানির কাছে ঋণী। আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও এই নামে কম্পিত ছিলেন।
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী আইআরজিসি’র কুদস ফোর্সের সাবেক প্রধান লে. জেনারেল কাসেম সোলায়মানির দ্বিতীয় শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (৩ জানুয়ারি) এক ওয়েবিনারে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকাস্থ ইরান দূতাবাসের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এই ওয়েবিনারের আয়োজন করে।
ওয়েবিনারে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, জেনারেল কাসেম সোলায়মানির মতো ন্যায় দক্ষ সেনানায়ক সচরাচর পাওয়া যায় না। তিনি ছিলেন ‘সেল্ফ মেইড ম্যান’ ও ‘সেল্ফ মেইড জেনারেল’। তিনি আল্লাহ প্রদত্ত শক্তি ও মেধায় বলীয়ান ছিলেন। সেই শক্তিতে বলীয়ান হয়েই তিনি নিজেকে গঠন করেছিলেন এবং তিনি তার ভূমিকা পালন করে শাহাদাত বরণ করেছেন।
ওয়েবিনারে স্বাগত বক্তব্যে ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর ড. সাইয়্যেদ হাসান সেহাত বলেন, জেনারেল কাসেম সোলায়মানির শাহাদাত একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এটি কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। এটি ইতিহাসের পাতা থেকে বিস্মৃত হওয়ার কোনো ঘটনা নয়। তিনি ছিলেন এমন এক বীর যার যাকে নিয়ে কেবল ইরানিরা নয় বরং বিশ্বের সকল মানুষ গর্ববোধ করে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামালউদ্দিনের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে আরো বক্তব্য দেন রেডিও তেহরানের বাংলা বিভাগের সিনিয়র সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. কে. এম সাইফুল ইসলাম খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান খান, দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়র সাংবাদিক জামালউদ্দিন বারী, রাজধানীর মদিনাতুল উলুম মডেল ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুর রাজ্জাক ও খুলনা ইসলামিক স্টাডিজ সেন্টারের অধ্যক্ষ হুজ্জাতুল ইসলাম সাইয়্যেদ ইব্রাহিম খলিল রাজাভী। ওয়েবিনারে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করবেন বিশিষ্ট ক্বারী এ. কে. এম. ফিরোজ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০২২
টিআর/এনটি