কুড়িগ্রাম: মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আর উত্তরীয় হিমেল হওয়ায় কুড়িগ্রামে নিম্নগামী তাপমাত্রার পারদ। সন্ধ্যারাত থেকে সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ায় বাড়ছে শীতের তীব্রতা।
মঙ্গলবার (০৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার (০৩ জানুয়ারি) ১০ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে।
কুড়িগ্রাম জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্য প্রবাহের দাপটে বিপাকে পড়েছেন দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের মানুষজন। ঘন কুয়াশায় দিনের বেলায় সড়ক-মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।
কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশে দুপুরের পর অল্প সময়ের জন্য সুর্যের দেখা মিললেও তাতে থাকছে না উষ্ণতা। ঠাণ্ডায় চর ও দ্বীপ চরের শিশু ও বৃদ্ধদের কষ্ট চরমে পৌঁছেছে।
যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী সরকার বাংলানিউজকে জানান, তার ইউনিয়নের বেশিরভাগই চরাঞ্চল। অধিকাংশ মানুষই দিমজুর ও নিম্ন আয়ের হওয়ায় শীতবস্ত্র কেনার সামর্থ্য নেই। চরাঞ্চলগুলোতে শীতবস্ত্রের অভাবে মনুষ খুব কষ্টে আছে। দুই শতাধিক কম্বল পোড়ার চর এলাকায় বিতরণ করা হয়েছে। শীতবস্ত্র না পাওয়ায় অসহায় মানুষদের মাঝে বিতরণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বাংলানিউজকে জানান, কুড়িগ্রাম অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহের কারণে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। এতে করে তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমে আসছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বাংলানিউজকে জানান, জেলায় এবারের শীতে ছিন্নমূল মানুষদের যাতে কষ্ট পেতে না হয় সেজন্য ৩৫ হাজার কম্বল দেওয়া হয়েছে এবং ৯ উপজেলায় আরো ১ কোটি ৯ লাখ টাকার শীতবস্ত্রসহ কম্বল ক্রয় করে তা উপজেলা পর্যায়ে ইউএনওদের মাধ্যমে বিতরণ চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২২
এফইএস/এসআইএস