হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের ল্যাব টেকনিশিয়ান সাইফুল ইসলামকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরেক যুবককে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। চাঞ্চল্যকর এ মামলায় এ নিয়ে দুইজনকে আটক করল র্যাব ও পুলিশ।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ২টায় র্যাব-হবিগঞ্জ ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। আটক যুবকের নাম মো. মনির হোসেন (২৫)। তিনি জেলার বানিয়াচং উপজেলার মাটিকাটা গ্রামের মো. সামছুল হকের ছেলে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার খৈশর গ্রামের কাঠখালীঘাটে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-০৯, সিপিসি-১, হবিগঞ্জের লেফট্যানেন্ট কমান্ডার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান ও সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) আব্দুল্লাহ-আল-নুমান। এ সময় মনিরকে আটক করা হয়। তাকে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
পুলিশ জানায়, গত ২৮ ডিসেম্বর দুপুরে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের ল্যাব টেকনিশিয়ান সাইফুল ইসলাম ও তার সঙ্গে এক নারী শহরের প্রধান সড়ক দিয়ে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় করে হাসপাতাল থেকে চৌধুরী বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে টাউন হল রোড এলাকায় এক যুবক রিকশাটির গতিরোধ করে কয়েক হাত লম্বা একটি বাঁশ দিয়ে প্রকাশ্যে সাইফুলকে ক্রামগত আঘাত করে পালিয়ে যান। হত্যাকারীর সঙ্গে আরও এক যুবক ছিলেন।
পরে ব্যবসায়ীরা আহত সাইফুলকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। সেখানে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত সাইফুলের বোন লুৎফুন্নেছা শেফু অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত ১ জানুয়ারি বানিয়াচং উপজেলার আমীরখানী মহল্লার আব্দুল হান্নানের ছেলে সুমনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সুমন হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বাঁশের যোগান দিয়েছিলেন ও খুনিকে পালাতে সহায়তা করেছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
** স্বাস্থ্যকর্মীকে পিটিয়ে মারতে বাঁশের ‘যোগান দিয়েছিলেন’ তিনি
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২২
আরএ