ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্লেন-লঞ্চ-ট্রেনে উঠতেও লাগবে টিকা কার্ড

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২২
প্লেন-লঞ্চ-ট্রেনে উঠতেও লাগবে টিকা কার্ড মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম

ঢাকা: প্লেন, লঞ্চ ও ট্রেনে উঠতে এবং রেস্টুরেন্টে যেতে টিকা কার্ড দেখানোর নির্দেশনা জারি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।  

বৃহস্পতিবার (০৬ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি মন্ত্রিসভার এ বৈঠকে যোগ দেন।  

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ওমিক্রন নিয়ে বিশেষ আলোচনা হয়েছে। আসলে গত ৩ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একটা মিটিং করেছি। সেখানে যে বিষয়টা অনুরোধ করা হয়েছে, সেটা হলো- ভ্যাকসিন আরও বেশি করে জোরদার করতে হবে। বুস্টার ডোজকেও আরও বিস্তৃত করা যায় কিনা, তা দেখতে হবে।

‘ওমিক্রনের বিষয়ে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে যে, এখন থেকে রেস্টুরেন্ট বা কোনো শপিং মল বা প্লেন এবং ট্রেনে যারা উঠবেন তাদের একটা টাইম দিয়ে, ডাবল ভ্যাক্সিনেশন সার্টিফিকেট ছাড়া কেউ যাতে না ওঠেন, সে রকম একটা চিন্তা ভাবনার দিকে যেতে হবে। ’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, রেস্টুরেন্ট বা শপিং মল বা প্লেন এবং ট্রেনে ওঠার ক্ষেত্রে ডাবল ভ্যাক্সিনেশনের একটা ইম্পোজিশন আসতেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী কিছুটা ইঙ্গিত দিয়েছেন। এটা অলরেডি সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। টেকনিক্যাল লোকজনের সঙ্গে দু’একদিনের মধ্যে আলোচনা করে সময় দিয়ে অর্ডার করে দিচ্ছি।

রেস্টুরেন্ট মনিটর করবেন কীভাবে- প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, টোটাল পপুলেশন চেক করা সম্ভব না। সিম্পল হিসেবে করা হয়। ভিজিলেন্স টিম থাকবে প্রত্যেক শহরে। সিটি করপোরেশন, পৌরসভার স্বাস্থ্য পরিদর্শক চেক করবেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা চেক করবেন। এটা একটা সময় দিয়ে দিতে বলেছে, টেকনিক্যাল লোকজনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে টাইম দিয়ে করতে হবে। কারণ, ওমিক্রন ঠেকাতে হলে একটা বিশেষ ভিউতে যেতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা যতটুকু সম্ভব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে যুক্ত করে দিয়েছি, সবার সঙ্গে বসে আলোচনা করেছি। একদম ৬৪ জেলার সঙ্গে।

তিনি আরও জানান, বাড়ির বাইরে কোনো অবস্থাতেই মাস্ক ছাড়া যেতে পারবে না। প্রয়োজন হলে এখন থেকেই মোটিভেশনাল এবং প্রমোশনাল কাজ করবে। পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী বা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে চেষ্টা নিতে হবে। মাস্ক পরা বাধ্য করতে প্রশাসন মাঠে থাকবে এবং প্রমোশনাল ক্যাম্পেইন চালানো হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমাগম সীমিত রাখতে হবে। মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি বাধ্যতামূলক করতে হবে। এটা আমরা কথা বলেছি, টেকনিক্যাল লোকজন রাজি হলে, এমনও হতে পারে যে তারা একটা রেস্ট্রিকশন দিয়ে দেবেন যে, এর বেশি লোক থাকতে পারবে না।

বুস্টার ডোজ সম্প্রসারণের কথা জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বুস্টার ডোজ ষাট পর্যন্ত, না কমানো যায় সেটা চিন্তা করতে বলা হয়েছে। কারণ বুস্টার ডোজ আমাদের যথেষ্ট আছে। আজকে সিদ্ধান্ত হয়েছে ফ্রন্টলাইনার সবাই বুস্টার ডোজ পাবেন। আজকে স্বাস্থ্যসচিব ছিলেন তাকেও বলে দেওয়া হয়েছে ফ্রন্টলাইনারদের যেন ইনশিওর করা হয়।

তিনি জানান, গণপরিবহনের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে, এটা (করোনা) যদি আর একটু অ্যাগ্রোভেট করে তাহলে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলবে। টিকার সার্টিফিকেটের দিকে যেতে হবে। আমরা বলে দেব কোনো ভাড়া বাড়ানো যাবে না।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যতটুকু সম্ভব এয়ারপোর্ট বা অন্যান্য পোর্টে স্ক্রিনিং করতে হবে। কার্গো পোর্টের নাবিকরা যেন কেউ নিচে আসতে না পারেন। তারা শিপে থাকবেন। এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমাদের যে প্লেনগুলো যায় সেখানে পাইলটরা প্লেনে থাকেন।

বাণিজ্যমেলাসহ সব জায়গায় ভ্যাকসিন সনদের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওখানে গ্যাদারিং বেশি হয় আর অ্যাওয়ার লোকজন যায়।

বিধি-নিষেধগুলো কত দিনের মধ্যে জারি করা হবে- প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমরা কাল-পরশুর মধ্যে বসে দিয়ে দেব।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২২/আপডেট ১৫৪৩ ঘণ্টা
এমআইএইচ/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।