রাজশাহী: স্বামীর দেওয়া আগুনে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন ফাতেমা খাতুন এক স্কুল শিক্ষিকা। তিনি রাজশাহী মহানগরের মহিষবাথান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
অভিযুক্ত সাদিকুলের বাড়ি মহানগরের রাজপাড়া থানার বুলনপুর ঘোষপাড়া এলাকায়। তিনি রাজশাহী সিটির করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেনের ছেলে।
দগ্ধ স্কুল শিক্ষিকার ছোট বোন নূরজাহান খাতুন জানান, গত বুধবার (৫ জানুয়ারি) দিনগত রাত ১টার দিকে কিছু বোঝার আগেই গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান সাদিকুল। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আগুনে তার মুখ, বুক ও দুই হাত পুড়ে গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি বর্তমানে রামেক হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
তিনি আরও জানান, ২০ বছর আগে বিয়ে হয় তাদের। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তার বোনকে নির্যাতন করে আসছিলেন সাদিকুল। পারিবারিক- সামাজিক চাপ ও লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি এতদিন গোপন রেখেছিল তার বোন। এর সঙ্গে জড়িয়ে ছিল তাদের ঘরে থাকা দুই সন্তানের ভবিষ্যৎ। তাই এতদিন তার বোন সব নির্যাতন মুখ বুঝে সহ্য করে সংসার জীবন চালিয়ে আসছিলেন। এ ঘটনায় তারা মামলা দায়ের করবেন বলে জানান।
রাজশাহী মহাগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, তিনি সকালেই ঘটনাটি শুনেছেন। তবে অগ্নিদগ্ধ স্কুল শিক্ষিকার পক্ষ থেকে এখনও থানায় কেউ এজাহার দেননি। দিলে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২২
এসএস/আরবি