ঢাকা: রেজওয়ানুল ইসলাম চৌধুরী সানি হত্যার রায় কার্যকরের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী।
শুক্রবার (০৭ জানুয়ারি) দুপুরে শহীদ রেজওয়ানুল ইসলাম চৌধুরী সানির স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি তোলা হয়।
এতে বলা হয়, ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসের দিকে তথাকথিত দলীয় কোটার অন্তরালে ভর্তি বাণিজ্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার কারণে সংগঠনের রাজশাহী পলিটেকনিক শাখার তৎকালীন নেতারা ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের রোষানলে পড়েন। তারই জের ধরে ২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি আনুমানিক সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রসজ্জিত হয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি নিজাম ও সাধারণ সম্পাদক তুষার গং-এর নেতৃত্বে ছাত্র মৈত্রীর নেতাদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে প্রাণ হারান পলিটেকনিক শাখার তৎকালীন সহ-সভাপতি শহীদ রেজওয়ানুল ইসলাম চৌধুরী সানি।
একই ঘটনায় ডান হাতের চারটি আঙুল কাঁটা পড়ে তৎকালীন পলিটেকনিক শাখার সভাপতি কাজী আব্দুল মোতালেব জুয়েলের। প্রায় দীর্ঘ ৬ মাস স্মৃতিশক্তিহীন থাকে আরেক সহ-সভাপতি শেরাফত আলী বুলবুল। এই হত্যাকাণ্ড পরবর্তীতে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এবং পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে নিজাম-তুষারকে ছাত্র শিবির থেকে অনুপ্রবেশকারী হিসাবে দাবি করা হয়।
বিবৃতিতে আরোও বলা হয়, সানির জীবনোৎসর্গের মধ্যদিয়ে গণমাধ্যমের কল্যাণে সারাদেশে ভর্তি বাণিজ্য এবং এই বাণিজ্যকে ঘিরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংহিংসতার ঘটনা সমালোচিত হলে সরকার নড়েচড়ে বসে। ২০১২ সালের দিকে নিম্ন-আদালতে সানি হত্যার বিচারের রায় হয়। যেখানে নিজাম ও তুষারকে মৃত্যুদণ্ড, বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে আসামিপক্ষ হাইকোর্টে আপিল করলে রায় বহাল রাখা হলেও সেই রায় কার্যকর করা হচ্ছে না। আমরা সানির হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আদালতের ঘোষিত রায় কার্যকরের দাবি জানাই।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সানির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনকালে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কাজী আব্দুল মোতালেব জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক অতুলন দাস আলো, সহ-সভাপতি তারিকুল ইসলাম, ইয়াতুন্নেসা রুমা, রাশেদ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক অদিতি আদৃতা সৃষ্টি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তানভীন আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক হিশাম খান ফয়সাল, সাহিত্য, সাংস্কৃতিক ও ক্রিড়া সম্পাদক সুমাইয়া পারভীন ঝরা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২১
আরকেআর/এমআরএ