ঢাকা: শীতকালীন প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন শতভাগ সেনা সদস্য। এবারের প্রশিক্ষণে প্রথমবারের মতো যুদ্ধক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লজিস্টিক্সের ওপর ফিল্ড ট্রেনিং এক্সারসাইজ (এফটিএক্স) পরিচালনা করা হচ্ছে।
এছাড়া পরীক্ষা করা হচ্ছে সেনাবাহিনীতে নতুন সংযোজিত অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সরঞ্জামাদি।
শনিবার (০৮ জানুয়ারি) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শীতকালীন প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে সারাদেশে স্ব স্ব দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মোতায়েন হয়েছে সেনাসদরসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সব ফরমেশন। এবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রায় শতভাগ সেনাসদস্যের অংশগ্রহণে গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ৪ সপ্তাহের জন্য নতুন উদ্যমে এই প্রশিক্ষণ শুরু হয়।
আইএসপিআর জানায়, এবারের শীতকালীন প্রশিক্ষণে সেনাবাহিনী সদর দপ্তর বহিরাঙ্গনে এসে পূর্ণাঙ্গরূপে অনুশীলন করছে। প্রথমবারের মতো এবার যুদ্ধক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লজিস্টিক্সের ওপর ফিল্ড ট্রেনিং এক্সারসাইজ (এফটিএক্স) পরিচালনা করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে এই প্রশিক্ষণে সড়কপথের পাশাপাশি আকাশপথ, নদীপথ এবং রেলপথে সফলভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে রসদ সম্ভার পরিবহন করা হচ্ছে।
এছাড়াও সেনাবাহিনীর নিজস্ব সক্ষমতায় সকল ফরমেশনের মধ্যে ওয়্যারলেস, ভিস্যাট ও ইন্টারনেট কমিউনিকেশন স্থাপন করা হয়েছে।
আইএসপিআর আরও জানায়, ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর আলোকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে নতুন সংযোজিত অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সরঞ্জামাদির কৌশলগত ব্যবহারও এবারের শীতকালীন প্রশিক্ষণে পরীক্ষা করা হচ্ছে। এসব কারণে এবারের শীতকালীন প্রশিক্ষণ অনেক বেশি অভিনব ও বাস্তবধর্মী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের সেবায় নিজেদের প্রস্তুত করে তুলতে সরেজমিনে বাস্তবধর্মী বিভিন্ন সামরিক বিষয়াদি অনুশীলনের মাধ্যমে পেশাগত দক্ষতার উন্নয়ন সাধন করাই মাসব্যাপী পরিচালিত এই অনুশীলনের মূল লক্ষ্য।
এবারের অনুশীলনে সেনাবাহিনী প্রধান, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারবৃন্দ, জিওসি আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড, কমান্ড্যান্ট ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজসহ অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বিভিন্ন ফরমেশনে অনুশীলন কার্যক্রম পরিদর্শন এবং তাৎক্ষণিক দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।
কঠোর প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্যের পেশাগত উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সার্বিকভাবে একটি বিশ্বমানের বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
প্রতিবছরের মতো এ বছরও শীতকালীন প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর ফরমেশনসমূহ স্ব স্ব দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় অসহায় ও দুস্থ শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র ও ত্রাণ বিতরণ, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবাদান ও ওষুধ বিতরণসহ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজ করছে। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় গবাদিপশুর বিনামূল্যে চিকিৎসা, পরামর্শ প্রদান ও ওষুধ বিতরণ করা হচ্ছে।
শীতকালীন প্রশিক্ষণ শেষে আগামী ১৪ জানুয়ারি সেনানিবাসে প্রত্যাবর্তন করবে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২২
এমইউএম/এমজেএফ