ঝিনাইদাহ: ঝিনাইদাহের শৈলকুপা উপজেলায় বগুড়া ইউনিয়নে সামাজিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বে কল্লোল হোসেন (৩১) নামে এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে আওধা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
কল্লোল ওই উপজেলার বারইহুদা গ্রামের আকবর খন্দকারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বগুড়া গ্রামের আনু বিশ্বাস ও মোকা বিশ্বাসের সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিলো। তার জের ধরেই শনিবার দুপুরে মাঠে পেঁয়াজ লাগানোর সময় আনুর সমর্থক কল্লোল হোসেনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে প্রতিপক্ষরা। পরে সেখান থেকে আহত অবস্থায় কল্লোলকে উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. শাহনেওয়াজ ইবনে কাশেম বলেন, কল্লোলকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মারা গেছে।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
অপরদিকে শৈলকুপায় নির্বাচনী সহিংসতায় আব্দুর রহিম নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
শনিবার সকালে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানায়, গত ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে শৈলকুপা উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নের কাতলাগাড়ী বাজারে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদুল হাসান মামুনের সমর্থক আব্দুর রহিমকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জুলফিকার কাইছার টিপুর সমর্থকরা। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করে।
সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনার ১৬ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে সে মারা যান।
নিহতের বাড়ি ওই ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামে।
এ নিয়ে ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে হামলা ও সংঘর্ষে চারজন মারা গেল। সবাই নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২২
এনএইচআর