নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনার পঞ্চম দিনে মা-মেয়েসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
রোববার (৯ জানুয়ারি) উপজেলা রক্তাবলী এলাকায় মরদেহগুলো পানিতে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দলকে খবর দেয়।
উদ্ধার হওয়া চারজনের মধ্যে দুইজনের পরিচয় শনাক্ত করেছে পরিবার। তারা হলেন- মা জেসমিন আক্তার (৩২) ও মেয়ে তাসমিন আক্তার (২০)। বাকি দুজনের পরিচয় শনাক্তে নিখোঁজদের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে।
এরআগে গত ৫ জানুয়ারি সকালে একটি লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটলে আটজন নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় বুধবার লঞ্চটি জব্দ করে নৌ-পুলিশ। আটক করা হয় যানটির মাস্টার কামরুল হাসান (৪০), ইনচার্জ ড্রাইভার মো. জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া (৪০) ও সুকানি মো. জসিম মোল্লাকে (৩০)।
পরদিন ট্রলারডুবির ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি দায়ের করেন বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের নৌ-নিরাপত্তা বিভাগের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) বাবু লাল বৈদ্য। মামলায় আসামি করা হয়েছে মেসার্স ফারহান নেভিগেশনের এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের মাস্টার, ইনচার্জ ও সুকানিকে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন বাংলানিউজকে বলেন, ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।
এ ঘটনায় নিখোঁজ আটজন হলেন- কিশোরগঞ্জের ইদ্রিস আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ (২২), রেকমত আলীর ছেলে মোতালেব (৪২), চর বক্তাবলী এলাকার রাজুর ছেলে সাব্বির (১৮), মধ্য চরের সোহেলের স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৩২), তাদের ছেলে তামীম খান (৮), মেয়ে তাফসিয়া (২), তাসমিম ওরফে তাসলিমা (১৫) ও আওলাদ (২৮)।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২২
এনএসআর