খুলনা: শিরোমনি শিল্পাঞ্চলের ব্যক্তিমালিকানাধীন বন্ধ সব মিল চালু ও বকেয়া পাওনা পরিশোধের দাবিতে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
রোববার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে বেসরকারি পাট, সুতা বস্ত্রকল শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন ও ক্ষতিগ্রস্ত বেসরকারি জুট মিলের বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রমিকদের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
বিভিন্ন জুট মিলের শ্রমিকরা শিরোমনি হুগলি বিস্কুট কোম্পানি শ্রমিক ইউনিয়নের সামনে সমবেত হন। পরে মহসেন জুট মিলের শ্রমিকরা একটি মিছিল নিয়ে সেখানে পৌঁছানোর পরে সব শ্রমিক একত্রিত হয়ে মিছিল সহকারে খুলনা যশোর মহাসড়কে উঠতে গেলে খানজাহান আলী আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের সামনে পুলিশ শ্রমিকদের মিছিলের সামনে ব্যারিকেড দেয়।
বেসরকারি পাট, সুতা, বস্ত্রকল শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি শেখ আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের প্রচার সম্পাদক সাইফুল্লাহ তারেকের পরিচালনায় বক্তারা বলেন, শ্রমিকের দাবি আদায়ে আমরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আমাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু প্রশাসন আমাদের ব্যারিকেড দিয়েছে। ত্রি-পক্ষীয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী শ্রমিকের পাওনা পরিশোধের আগ পর্যন্ত মিল থেকে কোনো মালামাল বের হবে না, তারপরও মিলের মালামাল রাতের আঁধারে বের করা হচ্ছে। তখন পুলিশ প্রশাসন ব্যারিকেড দেয় ন?
ত্রি-পক্ষীয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে মিল চালু ও শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করতে চেয়েছিল মিল কর্তৃপক্ষ, তা বাস্তবায়ন করেনি। মহসেন জুট মিলের শ্রমিকরা ৮ বছর অতিবাহিত হলেও তাদের চূড়ান্ত পাওনা আজও পায়নি। শিরোমনি হুগলি বিস্কুট কোম্পানির শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ না করে কারখানা বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল খান, খানজাহান আলী থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার স. ম রেজওয়ান আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আসহাব উদ্দীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইজ্ঞিল কাজী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাতাব উদ্দিন, খানজাহান আলী থানা ওয়াকার্স পাটির সাধারণ সম্পাদক আ. সাত্তার মোল্লা, মো. সেকেন্দার আলী, লিয়াকত মুন্সি, নিজামউদ্দীন, মো. কাবিল হোসেন, ওবায়দুর রহমান, ইকবাল বিশ্বাস, শাহ মনিরুল ইসলাম, কাগজী ইকরাম হোসেন, আসাদুজ্জামান আশা, ৩৪ নং ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. ইকবাল হোসেন, মীর আনছার আলী, আবু তালেব, হাশেম গাজী, মো. আল মামুন গাজী, মেহেদী হাসান, মো. কেসমত আলী, আলাউদ্দিন, মো. সোলায়মান, খায়রুল আলম, সবুর, আলম, আব্দুর রশিদ, হাছান, আতাউর, আবুল কাশেম, আবুল হোসেন, মো. চান মিয়া, হুগলি বিস্কুট শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি কাজী মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. ফরহাদ মোড়ল, মো. ইয়াসিন আলী, মো. হাফিজ, জয়, মো. জিন্নাহ, আলি হামযা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২২
এমআরএম/এমজেএফ