পাবনা (ঈশ্বরদী): পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়ায় ইঞ্জিনচালিত নসিমনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এসময় গুরুতর আহত হয়েছেন চার যাত্রী।
আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কের দিকশাইল মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত অটোরিকশা যাত্রী নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার শিবপুর গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে বাবলু হোসেন (২৫)। অটোরিকশাচালকের নাম পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
আহত যাত্রীরা হলেন- নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের মুনছুর আলীর ছেলে শাহিন আলম (৩০) আমির প্রমাণিকের ছেলে মহরম প্রমাণিক (৫০), ঈশ্বরদী পৌর এলাকার আমবাগান মহল্লার আনছার আলীর স্ত্রী ডলি বেগম (৫৫) ও হানিফ আলীর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম।
পাকশী হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল বাশার বাংলানিউজকে এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, রোববার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কের দিকশাইল মোড়ে অটোরিকশা ও নসিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশা চালক ও এক যাত্রী ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দাশুড়িয়া থেকে গরুবহন করা নসিমনটি পাবনার দিকে যাচ্ছিল। এসময় পাবনা থেকে দাশুড়িয়া আসা একটি অটোরিকশার সঙ্গে নসিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে অটোরিকশার চালকসহ এক যাত্রী নিহত হয়। এসময় ইঞ্জিনচালিত নসিমন ফেলে চালক পালিয়ে যায়। এদিকে খবর পেয়ে পাকশী হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দায়িত্বরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
পাকশী হাইওয়ে থানার ওসি রেজাউল বাশার আরও জানান, পাকশী হাইওয়ে থানায় সড়ক নিরাপদ আইনে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশা ও নসিমন আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে। নসিমন চালককে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে। নিহত যাত্রীর স্বজনদের খবর পাঠানো হয়েছে। তারা এলে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২২
আরএ