মাদারীপুর: মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় ধান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। জেলার উপজেলাগুলোর চরাঞ্চলসহ বিস্তীর্ণ ফসলি জমিতে রোপন করা হচ্ছে ধানের চারা।
জানা গেছে, আগাম জাতের ইরি-বোরো ধানের বীজ রোপণের হিড়িক পড়েছে। অন্য বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে মাদারীপুর জেলায় তিনগুণ বেশি জমিতে ইরি বোরো ধান চাষ হবে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা। আমন ধানের দাম ভালো না পাওয়ায় ইরি ও বোরো ধানের আবাদে ঝুঁকেছেন কৃষকেরা।
জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর জেলায় ইরি-বোরো ধানের মধ্যে হাইব্রিড ও উফসী জাতের ধান বেশি আবাদ হয়। এছাড়াও হিরা-১, হিরা-২, সোনার বাংলা, ব্রি-ধান ২৮, ব্রি-২৯, ব্রি-৮১, ব্রি-৭৪, ব্রি-৮৯সহ স্থানীয় জাতের কিছু ধানের চাষও করা হচ্ছে। চলতি মৌসুমে শীতে বীজ তলার তেমন ক্ষতি না হওয়ায় জমিতে চাষাবাদ ঠিকমতো করা হচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি ইরি- বোরো মৌসুমে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার বিভিন্ন স্থানের কৃষকেরা ভোর থেকে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফসলের ক্ষেতে। শীত উপেক্ষা করে ধানের চারা রোপন করছেন। নদী তীরবর্তী জমিতেও রোপণ করা হচ্ছে বোরো ধান। পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদের চরাঞ্চলের জমিতে প্রতি বছরই ধানের ফলন ভালো হয় বলে কৃষকেরা জানান। ধানের চারা রোপণে স্থানীয় কৃষকেরা দূর-দূরান্ত থেকে শ্রমিক এনেও কাজ করছেন ফসলের ক্ষেতে।
জেলার শিবচর উপজেলার শিরুয়াইল ইউনিয়নের কৃষক মো. ইব্রাহিম জানান,'প্রতি বছরই ধানের চাষ করি। এ বছরও করছি। তবে বীজের দাম বেড়েছে। শ্রমিকের মজুরিও বেশি। ফলন ভালো হলে লাভের মুখ দেখা যাবে। '
অপর কৃষক মো. ইদ্রিস বলেন,'সব কিছুর দাম বেশি থাকায় ধান চাষে ব্যয় বেশি হচ্ছে। এবার বীজ ভালো পাওয়া গেছে। আশা করি ফলনও ভালো আসবে। '
জেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা এস এম সালাউদ্দিন জানান, 'চলতি মৌসুমে কোনো সমস্যা না হলে প্রতি হেক্টরে হাইব্রিড ৫.৮১ মেট্রিক টন এবং উচ্চ ফলনশীল ৬.২৪ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। আশা করি প্রতি বছরের মতো এবারও ভালো ফসল উৎপাদন করতে পারবো। '
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২১
এসআইএস