ঢাকা: পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহের কারণে চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুকে (৩৫) হত্যা করেছে তার স্বামী শাখাওয়াত আলী নোবেল। এরপর শিমুর লাশ টুকরো করে বস্তায় ভরে গুম করতে সহায়তা করেছেন নোবেলের বন্ধু ফরহাদ।
মরদেহ উদ্ধারের পর ঘটনাটি তদন্ত করে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত শিমুর স্বামী ও তার বন্ধুকে গ্রেফতার করে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিমুর স্বামী নোবেল ও তার বন্ধু হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন সরদার।
তিনি বলেন, সোমবার (১৭ জানুয়ারি) মরদেহ উদ্ধারের পরপর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চিত্রনায়িকা শিমুর স্বামী নোবেল ও তার বন্ধু এস এম ওয়াই আব্দুল্লাহ ফরহাদকে রাতেই কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় নিয়ে আসা হয়।
তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ এর ফলে শিমুর স্বামী নোবেল ও তার বাল্যবন্ধু ফরহাদের এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া যায়। বিভিন্ন পারিবারিক বিষয়কে কেন্দ্র করে স্বামী নোবেলের সঙ্গে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। দাম্পত্য কলহের জেরে গত ১৬ জানুয়ারি সকাল ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে যেকোন সময় শিমুকে হত্যা করা হয়।
এসপি মারুফ হোসেন বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই যে গাড়ি ব্যবহার করে মরদেহ গুমের চেষ্টা করা হয়েছে সেই গাড়িটিও জব্দ করেছি এবং অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করেছি। শিমুর স্বামী নোবেল এবং তার বন্ধু ফরহাদ বর্তমানে থানা হেফাজতে রয়েছেন। মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
পারিবারিক কলহ কি নিয়ে জানা গেছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে এসপি মারুফ বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা এই তথ্যই পেয়েছি, ঘটনার তদন্ত চলছে, এসব ঘটনা পরবর্তীতে জানানো হবে।
আরও পড়ুন>>
>>> কেরানীগঞ্জে বস্তাবন্দি লাশটি চিত্রনায়িকা শিমুর
>>> কেরানীগঞ্জে তরুণীর বস্তাবন্দি মরদেহ
>>> চিত্রনায়িকা শিমুর স্বামী ও বন্ধু আটক
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২২
এসজেএ/আরআইএস