ঢাকা, শুক্রবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ১৭ রবিউস সানি ১৪৪৭

জাতীয়

মৌলভীবাজারে স্বেচ্ছাশ্রমে ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা সংস্কার

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:১১, জানুয়ারি ১৯, ২০২২
মৌলভীবাজারে স্বেচ্ছাশ্রমে ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা সংস্কার স্বেচ্ছাশ্রমে ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা সংস্কার

মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারে কয়েকজন যুবকের উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা সংস্কার করা হয়েছে।  

সদর উপজেলার ১১ নম্বর মোস্তফাপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের জগন্নাথপুর গ্রামের পুরাতন জামে মসজিদ সড়কটির ঝুঁকিপূর্ণ অংশে মাটি ভরাট করে সংস্কারের উদ্যোগ নেন ওই গ্রামের শাকিল আহমদ, এবাদুল হক, তাহমীদ, মনসুর, শাফী, মারজানসহ স্থানীয় কয়েকজন যুবক।

সংস্কারের এই উদ্যোগটি বাস্তবায়নে নিজেদের ব্যক্তিগত তহবিল ও স্থানীয় কয়েকজনের কাছ থেকে অর্থ সহায়তা নিয়ে কাজ শুরু করেন তারা।      

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) সরেজমিন দেখা যায়, ওই যুবকরা স্থানীয় কয়েকজন শ্রমিক ও স্বেচ্ছাশ্রম দিতে আসা কয়েকজনকে নিয়ে রাস্তার দু’পাশের দেবে যাওয়া অংশগুলো পুরাতন টিন, বাঁশ ও মাটি দিয়ে ভরাট করে বাঁধ তৈরি করছেন। রাস্তার দেবে যাওয়া অংশে ছোট পিকআপে করে মাটি ফেলে ভরাট করছেন। এ সময় তাদের সহাতায় এগিয়ে আসেন ওই গ্রামের মুরব্বি জয়নাল আবেদীন কাজল, মুহিবুর রহমান, এখলাছুর রহমান, ব্যবসায়ী আরাফাত আলীসহ স্থানীয় যুবক মুসলিম মিয়া।  

স্থানীয়রা জানান, গ্রামের পুরাতন জামে মসজিদ সড়কটি দীর্ঘ দেড়যুগ আগে প্রায় অর্ধ কিলোমিটার ইট সলিং দিয়ে নির্মাণ করা হয়। প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ গ্রামের শতশত মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই সড়ক দিয়েই চলাচল করে ট্রাক, পিকআপ, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, কার ও মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন প্রকারের যানবাহন। শুধু ছোট যানবাহন নয়, মালামালবাহী ভারি যানবাহন চলাচলের কারণে রাস্তাটির অনেক অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিভিন্ন অংশে সলিংকৃত ইট সরে যায়, তৈরি হয় বড় বড় গর্ত।

বিশেষ করে শ্রীমঙ্গল সড়কের সঙ্গে যুক্ত হওয়া অংশটি দিন দিন দেবে যাওয়ায় যানবাহন চলাচলে ঝুঁকি সৃষ্টি হয়। স্কুলগামী ছোট ছোট শিশুদের রাস্তা পারাপার করতে হয় তীব্র ঝুঁকি নিয়ে। অনেক সময় গ্রামের ভেতর থেকে আসা যানবাহনগুলো মূল সড়কে প্রবেশ করতে গিয়ে ওই সড়কের দু’দিক থেকে আসা তীব্র গতির যানবাহনগুলো ঠিকমত দেখতে না পাওয়ায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়। এমন পরিস্থিতিতে সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেন স্থানীয় যুবকরা।

মঙ্গলবার সকাল থেকে যুবকদের সঙ্গে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছেন ব্যবসায়ী আরাফাত আলী। তিনি বলেন, আমাদের এলাকার ছোট ছোট ছেলেরা চাঁদা তুলে অনেক শ্রম দিয়ে রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ায় তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, রাস্তাটি এলাকাবাসীর চলাচলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় পরবর্তীতে এই রাস্তাটির উন্নয়নে ব্যবস্থা নিতে যথাযত কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাচ্ছি।

এলজিইডি মৌলভীবাজার সদর উপজেলা প্রকৌশলী মো. আলমগীর চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে যুবকদের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনার মাধ্যমে যেহেতু বিষয়টি জানতে পেরেছি তাই পরবর্তীতে কোনো একটা প্রকল্পের মাধ্যমে জিডিপি ভুক্ত করে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে রাস্তাটি জিডিপিভুক্ত না হলে উদ্যোগ নেওয়াটা কঠিন হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২২
বিবিবি/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।