বরগুনা: পারিবারিক কলহের কারণে চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর হত্যাকারীদের ফাঁসি চেয়েছেন তার বাবা মো. নুরুল ইসলাম
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের মোবাইলে এমনটাই জানিয়েছেন সাবেক ইউপি সদস্য মো. নুরুল ইসলাম।
বরগুনার আমতলী উপজেলায় হলদিয়া ইউনিয়নে আলোচিত চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর গ্রামের বাড়ি।
শিমু হত্যার খবর আমতলীতে ছড়িয়ে পড়লে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এলাকাবাসী শিমুর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কারণে ১৯৯৬ সালে শিমুর মা রাশেদা বেগম তার সন্তানদের নিয়ে ঢাকায় চলে যান। সেখানে বসবাসের সময় পরিচয় হয় চিত্র পরিচালক কাজী হায়াৎ এর সঙ্গে। তার হাত ধরেই ১৯৯৮ সালে চিত্র জগতে প্রবেশের পর রূপালি পর্দার বদৌলতে শিমুর নাম হয়ে যায় রাইমা ইসলাম শিমু। একের পর এক বিভিন্ন সিনেমায় অভিনয়ের পর শিমুর নাম ছড়িয়ে পড়ে আমতলীসহ সারাদেশে।
অপরদিকে, শিমুর মা এবং তাদের সন্তানরা ঢাকা চলে গেলেও পারিবারিক কারণে শিমুর বাবা মো. নুরুল ইসলাম নিজ গ্রাম আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের বাড়িতে থেকে যান। পরবর্তীকালে তিনি ওই বাড়ি ছেড়ে একই ইউনিয়নের হলদিয়া গ্রামে বসবাস করা শুরু করেন। ওই গ্রাম থেকেই তিনি একবার ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
গত (সোমবার) রাত ১০টায় ছেলেদের ফোন এবং টেলিভিশনের খবরের মাধ্যমে জানতে পারেন তার মেয়ে শিমু খুন হয়েছেন। ওই রাতেই তিনি আমতলী থেকে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশে কোন যানবাহন না পেয়ে পরের দিন (মঙ্গলবার) খুব সকালে তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। বর্তমানে তিনি ঢাকায় রয়েছেন।
বুধবার মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন, আমার মাইয়াডারে অনেক আদর দিয়ে বড় করেছি, হেই মাইয়াডারে ওরা মাইর্যা ফালাইছে। আমি আর কিছু চাই না শুধু আমার মাইয়াডারে যারা হত্যা করেছে তাদের ফাঁসি চাই।
উল্লেখ্য, পারিবারিক কলহের কারণে চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর স্বামী নোবেল তাকে হত্যা করেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে পুলিশ।
>>> আজিমপুর কবরস্থানে সমাহিত হলেন শিমু
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২২
এনটি