মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের শমশেরনগর-কুলাউড়া সড়কের শমশেরনগর বিমানবাহিনী ইউনিট সংলগ্ন রাস্তার নির্দিষ্ট দুটি স্থানে প্রতিনিয়ত দেবে যাচ্ছে পাথর ও কয়লাবোঝাই ট্রাক। ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে ট্রাকগুলো যাতায়াতকালে এ সমস্যায় পড়ছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের শমশেরনগর বিমান বাহিনী ইউনিট সংলগ্ন রেলগেটের দুই পাশে রাস্তার মধ্যবর্তী স্থানে দুটি ট্রাকের চাকা দেবে যায়। ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে কয়লাবাহী ট্রাকগুলো দেবে যাওয়ার পর দুই পাশে যানবাহন আটকা পড়ে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন যাত্রীরা। গাড়ি থেকে নেমে কিছু সংখ্যাক যাত্রী পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে, সময় গড়ানোর পর যানবাহন চালকরা আটকে পড়া ট্রাকের পাশ দিয়ে মাটি ফেলে ঝুঁকি নিয়েও যাতায়াত করতে দেখা গেছে।
জানা যায়, শমশেরনগর-কুলাউড়া সড়কের রেলগেট সংলগ্ন প্রায় অর্ধ কিলোমিটার জায়গা সংস্কারের জন্য কাজ পান সিলেটের ঠিকাদার জামিল ইকবাল। তিনি সড়কের ওই স্থান ভেঙে পিচ ঢালা তুলে ফেলেন। গত একমাস সময় ধরে পিচ ঢালাই তুলে রাখলেও আর কোন কাজ করেননি। ফলে একদিকে ধুলোবালুতে পথচারীদের দুর্ভোগ হচ্ছে আবার পাথর কিংবা কয়লাবোঝাই ট্রাক এসেই রেলগেটের দুই পাশে প্রতিনিয়ত দেবে যাচ্ছে। এতে যানচলাচল ও যাত্রী সাধারণের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শ্রীমঙ্গল-শমশেরনগর ও কুলাউড়া বাস মিনিবাস চালক সমিতির ম্যানেজার জুলহাস আহমেদ, সিএনজিচালিত অটোচালক বিল্লাল মিয়া, শিমুল মিয়া বলেন, এভাবে প্রতিনিয়ত সড়কের ওই দুইটি নির্দিষ্ট স্থানে এসেই পণ্যবোঝাই ট্রাকের চাকা দেবে যায়। পরে অন্যান্য যানবাহন কিছু সময় বন্ধ থাকে এবং পাশ দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করা হলেও ঝুঁকি নিয়ে সে স্থান অতিক্রম করতে হয়। ঠিকাদার বা কর্তৃপক্ষের কারো মাথা ব্যথা নেই।
এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে ঠিকাদার জামিল ইকবালের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার ফোনে কয়েক দফা চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দীন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আসলে ঠিকাদারদের গাফিলতির কারণে এসব সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। একজন ঠিকাদার কাজ ফেলে আদালতে মামলা দিয়েছেন। ফলে সড়কে কাজ না হওয়ায় দুর্ভোগ হচ্ছে। তবে, শমশেরনগর বিমান বাহিনী ইউনিটের রেলগেট সংলগ্ন সড়কে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে ঠিকাদারকে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২২
বিবিবি/এএটি