ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পদ্মাসেতু বাংলাদেশের আত্মমর্যাদার নাম: নৌপ্রতিমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২২
পদ্মাসেতু বাংলাদেশের আত্মমর্যাদার নাম: নৌপ্রতিমন্ত্রী ফাইল ছবি।

ঢাকা: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত‍্যার পর বাংলাদেশ বিবর্ণ হয়ে যায়। বিশ্বে পরিচিতি পায় ক্ষুধা, দারিদ্র ও বন্যাকবলিত দেশ হিসেবে।

সেই অবস্থা থেকে পদ্মাসেতু বাংলাদেশকে অহংকার ও মর্যাদার জায়গায় নিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

শনিবার (২২ জানুয়ারি) রাজধানীর কমলাপুরে ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপোতে (আইসিডি) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আয়োজিত আইসিডির মেট শ্রমিক ও দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় ২৭০ জনকে কম্বল দেওয়া হয়।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পদ্মাসেতুর কানেক্টিং পয়েন্ট কমলাপুর ইনল‍্যান্ড কন্টেইনার ডিপোতে (আইসিডি) সংযুক্ত হলেও আইসিডি পরিচালনায় সমস্যা হবে না। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে ব‍্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে আইসিডি অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা হলেও শ্রমিকদের কাজের কোনো সমস্যা হবে না। আমরা আরো আইসিডি প্রতিষ্ঠা করবো। সে সক্ষমতা আমাদের রয়েছে।

তিনি বলেন, পদ্মাসেতু একটি আত্মমর্যাদার নাম, একটি সাহসের নাম, বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার নাম। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ মহান বিজয় অর্জন করেছে। সেই বিজয়ের অহংকার স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুকে হত‍্যা করার মাধ‍্যমে অন্ধকারে হারিয়ে যায়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত‍্যার পর বাংলাদেশ বিবর্ণ হয়ে যায়। সারাবিশ্বে পরিচিতি পায় ক্ষুধা, দারিদ্র ও বন্যাকবলিত দেশ হিসেবে। তবে দেশে দারিদ্রতা বিক্রি করে বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন, নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। কিন্তু এতে দেশের মানুষের ভাগ‍্য পরিবর্তন হয়নি। ৭৫-এর পর পদ্মাসেতু আমাদের অহংকার ও মর্যাদার জায়গায় নিয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব‍্যাংককে চ‍্যালেঞ্জ করে পদ্মাসেতু বাস্তবায়ন করেছেন। আগামী ২৩ জুন প্রধানমন্ত্রী সেতুটি উদ্বোধন করবেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি দেখে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সপ্তম নৌ বিহার পাঠিয়েও আমাদের বিজয় আটকাতে পারেনি। এখন ষড়যন্ত্রকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র করছে। এসব অপপ্রচার চালিয়ে বাংলাদেশের অগ্রগতি থামানো যাবে না।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব‍্য রাখেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম‍্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, আইসিডি  ম‍্যানেজার আহমাদুল করিম এবং আইসিডির শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি তুষার খান বাবুল।

বাংলাদেশ সময় ২০১২, জানুয়ারি ২২, ২০২২
এসকে/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।