গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জে গোপনে স্ত্রী উম্মে সাইয়েদার (২৩) মরদেহ দাফন করতে গিয়ে পুলিশের কাছে ধরা খেলেন চট্টগ্রাম রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহ আলম (৪৭) ও তার সহযোগী লিওন সাহা (৩০)।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) ভোরে দাফন করার জন্য গাজীপুর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে গোপালগঞ্জ পৌর কবরস্থানে আনা হয় ওই নারীর মরদেহ।
জানা গেছে, উম্মে সাইয়েদা ওই প্রকৌশলীর দ্বিতীয় স্ত্রী। গত ১৩ জানুয়ারি তাদের বিয়ে হয়েছে। চট্টগ্রাম রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহ আলমের বাড়ি কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার শাহদৌলতপুর গ্রামে ও তার সহযোগী লিওন সাহার বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতি গ্রামে। আর ওই নারীর বাড়ি বাগেরহাট জেলার ফকিরহাটের বেতাগা ইউনিয়নে।
গোপালগঞ্জ পৌর কবরস্থানের রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান জানান, ওই নারীর মরদেহ দাফনের জন্য রোববার রাতেই কবর খুড়ে রাখা হয়। দাফনের আগে নারীর জাতীয় পরিচয় পত্রের কার্ড অনুযায়ী পরিচয় জানতে চান তিনি। তবে প্রকৌশলী শাহ আলম ও তার সহযোগী লিওন সাহা পরিচয় দিতে রাজি না হয়ে দ্রুত মরদেহ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয়রা গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশকে জানায়। এরপর পুলিশ এসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই দুইজনকে থানায় নিয়ে যান এবং মরদেহের ময়নাতদন্ত করতে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
চট্টগ্রাম রেলওয়ের উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহ আলম জানান, লিওন সাহাকে নিয়ে তিনি উম্মে সাইয়েদাকে ১১ দিন আগে বিয়ে করেন। দুই দিন আগে হঠাৎ করে তার মৃত্যু হয়। আগের পক্ষের স্ত্রী ও সন্তানদের কাছে বিষয়টি লুকানোর জন্য তিনি তার সহযোগী লিওনের মাধ্যমে মরদেহ দাফনের জন্য গোপালগঞ্জ নিয়ে আসেন।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, ওই দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২২
এনএইচআর