ঢাকা, সোমবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ জুলাই ২০২৪, ২৩ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

হামলার পর বিদেশে পালানোর পরিকল্পনা ছিল মনিরের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৮ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২২
হামলার পর বিদেশে পালানোর পরিকল্পনা ছিল মনিরের

ঢাকা: বাহরাইন প্রবাসী কুমিল্লা লাকসামের বাসিন্দা মনির আব্দুর রাজ্জাক অনলাইনে বিভিন্ন কন্টেন্ট দেখে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হন। জঙ্গি সংগঠন গাজওয়াতুল হিন্দে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের বিচারক ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার পরিকল্পনা করেন তিনি।

পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পরিবারের কাউকে না জানিয়ে দেশে আসেন মনির। হামলা চালিয়ে আবারও বাহরাইনে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। এজন্য বেশকিছু স্থানে রেকিও করেন সেলফ রেডিকালাইজড এই মনির।

এর মধ্যে শনিবার (৫ মার্চ) রাজধানীর ফকিরাপুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে মনির আব্দুর রাজ্জাককে (৪০) গ্রেফতার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরিরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।

সিটিটিসি জানায়, মনিরের সঙ্গে কোন জঙ্গি সংগঠনের যোগসাজশ পাওয়া যায়নি। সাইবার স্পেসে বিভিন্ন কন্টেন্ট দেখে নিজেই উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে হামলার পরিরিকল্পনা করেন সে।

রোববার (৬ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, কুমিল্লার লাকসামের বাসিন্দা মনির ২০০৭ সালে শ্রমিক হিসেবে বাহরাইনে যায়। ২০১৮ সালে দেশে এসে আবার বাহরাইনে যায়। সেখানেই তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন রেডিকালাইজড কনটেন্ট দেখে নিজে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হন।

নিজেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেসব কন্টেন্ট শেয়ার করতেন। তার কাছ থেকে উদ্ধার ডিভাইস বিশ্লেষণ করে ভয়ংকর তথ্য পাওয়া গেছে।

সেলফ রেডিকালাইজড মনির একপর্যায়ে জিহাদের প্রস্তুতি নেয়। তারই অংশ হিসেবে পরিবারের কাউকে না জানিয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দেশে আসেন। পুলিশ ও বিচারকের ওপর হামলার পরিরিকল্পনা করেন তিনি। ঘটনা ঘটিয়ে আবারও ফেরত যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল।

নিজে জিহাদের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার পাশাপাশি মনির অন্যকেও উদ্বুদ্ধ করতেন উল্লেখ করে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তিনি গাজওয়াতুল হিন্দের দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে বিভিন্ন স্টেটাস দিতেন।

বাহরাইনে তার পাকিস্তানি এক সহকর্মীর সঙ্গে পরিচয়ের সূত্রে পাকিস্তানি পরিচয় দিয়ে একটি আইডি খোলেন। সেটি দিয়ে নানা রকম সরকারবিরোধী, উস্কানিমূলক পোস্ট দিতেন মনির। তার ধরণা ছিল যেহেতু তিনি বিদেশে সেহেতু তাকে কেউ ধরতে পারবে না।

সিটিটিসি প্রধান বলেন, দেশে এসে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ছদ্মবেশে বিভিন্ন জায়গা রেকি করছিল। এ অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। আমরা মনে করছি, তাকে গ্রেফতারের মাধ্যমে বাংলাদেশ আরও একটি বড় ঘটনা থেকে রক্ষা পেল। তাকে গ্রেফতারের মাধ্যমে তার পরিকল্পনা নাসাৎ করে দিতে পেরেছি।

তার কিছু সহযোগীদের নাম আমরা পেয়েছি। তাদেরকে গ্রেফতারে কাজ চলছে। গ্রেফতার মনিরকে আদালতে রিমান্ড প্রার্থনা করে পাঠানো হচ্ছে। আশা করছি তাকে রিমান্ডে পাবো। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানা যাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

আরও পড়ুন: বিচারক-আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার পরিকল্পনা, গ্রেফতার ১

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২২
পিএম/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।