ঢাকা, সোমবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

২০৪১ সালের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে ৫০ ভাগ নারী: শিক্ষামন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৮ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২২
২০৪১ সালের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে ৫০ ভাগ নারী: শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি -ফাইল ছবি

ঢাকা: আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ৫০ ভাগে উন্নীত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গলবার (৮ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভা ও শ্রেষ্ঠ উদ্যোক্তাদের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কন্যা শিশুর শিক্ষা, বাল্যবিবাহ নির্মূলসহ নারীর প্রতি যে কোন ধরনের বৈষম্য নিরসনে আইন প্রণয়ন ও আইনের কঠোর প্রয়োগ নারী ও শিশুদের কল্যাণ এবং কর্মসংস্থানের সুযোগসহ তথ্য প্রযুক্তিতে নারীর পেশাগত জ্ঞান ও মেধা প্রকাশের সুযোগ সৃষ্টি করে নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে সমাজে নারী-পুরুষের সমতা ও অগ্রগতি নিশ্চিত করে এদেশের উন্নয়নকে টেকসই করা আমাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্যে সামাজিক নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে নারীর দারিদ্র্য বিমোচনে নেওয়া হয়েছে সমন্বিত উদ্যোগ।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ উদ্যোগের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগসহ তথ্য প্রযুক্তিতে নারীর পেশাগত জ্ঞান ও মেধা প্রকাশের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। ফলে কোভিড মহামারি সময়ে ই-কমার্সের মাধ্যমে নারীরা নিজেদের কর্মসংস্থান করতে পারছেন। জয়িতা ফাউন্ডেশনের অনলাইন মার্কেটপ্লেস ‘ই-জয়িতা’ চালু করা হয়েছে। এর ফলে দেশে এক লাখ নারী উদ্যোক্তা সংযুক্ত হতে পারবে। উপজেলা ডিজিটাল সেন্টারে এখন ৩ হাজার ১৬০ জন নারী উদ্যোক্তা ই-তথ্য সেবা দিচ্ছেন। জেলাভিত্তিক মহিলা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রকল্পের মাধ্যমে ৬৪টি জেলায় নারীদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ‘তথ্য আপা’ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন (২য় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

দীপু মনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের অন্যতম অর্জন হচ্ছে লিঙ্গবৈষম্য কমিয়ে নারীর ক্ষমতায়নের পথে এগিয়ে থাকার উল্লেখযোগ্য সাফল্য লাভ। এ বিষয়ে বাংলাদেশের স্থান দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবার ওপরে। কয়েকটি ক্ষেত্রে বিশ্বের সব দেশের ওপরে বাংলাদেশের স্থান। ২০২১ সালে আমরা স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করেছি।

পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, ঢাকা মেট্রোরেল, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী টানেলসহ দেশের মেগা প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়িত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান চতুর্থ শিল্পবিপ্লব কিংবা তথ্য প্রযুক্তির বিপ্লবের যুগে সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরাও জ্ঞানভিত্তিক দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার জন্য নারী-পুরুষ সবাইকে তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে এসেছি। নারীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও উদ্যোক্তা তৈরিতে ই-লার্নিং, ই-কমার্স ইত্যাদি বিষয়গুলো এখন সুপরিচিত। শতভাগ শিশু এখন প্রাথমিক শিক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এদেশের নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যেমন আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি তেমনিভাবে আমরা আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রায় ‘কেউ পিছিয়ে থাকবে না’ এই প্রত্যয় বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বিশ্বের কাতারে থাকবে বাংলাদেশ। খাদ্য নিরাপত্তা, নিরাপদ পানি, জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই পরিবেশ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ গ্রহণ করা হয়েছে। সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন বিশ্বের সব উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে উড়বে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, ৮ মার্চ, ২০২২
এমআইএইচ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।