ঢাকা, শনিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ১৫ বস্তা টাকা!

নজরুল ইসলাম খায়রুল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২২
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ১৫ বস্তা টাকা!

কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স চার মাস ৬ দিন পর আবারও খোলা হয়েছে। এরপর গণনা করে প্রায় তিন কোটি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার ২৯৫ টাকা পাওয়া যায়।



এছাড়াও স্বর্ণ ও রূপাসহ বেশ কিছু বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া গেছে।  

শনিবার (১২ মার্চ) দিনগত রাতে গণনা শেষে দানের টাকার এ হিসাব পাওয়া যায়।  

এর আগে,এদিন সকালে মসজিদের ৮টি দানবাক্স খোলা হয়। দানবাক্সগুলো খোলার পর টাকাগুলো প্রথমে ছোট-বড় ১৫টি বস্তায় ভরা হয়। এরপর শুরু হয় দিনব্যাপী টাকা গণনার কাজ।

সাধারণত তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়। এবার ৪ মাস ৬ দিন পর মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নাজমুল ইসলাম সরকারসহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত উদ্দিন ভূঞা ও রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যসহ সার্বক্ষণিক দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টাকা গণনা কাজ তদারকি করেন।  

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নাজমুল ইসলাম সরকার বাংলানিউজকে জানান, দানবাক্সগুলো খোলার পর টাকাগুলো গুনে নগদ তিন কোটি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার ২৯৫ টাকা পাওয়া যায়। টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে জমা রাখা হয়েছে। আর যে স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে তা আগের স্বর্ণালঙ্কারের সঙ্গে যোগ করে দানের বাক্সে রেখে দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও দানে পাওয়া গবাদিপশু ছাগল, হাঁস-মুরগি প্রতি সপ্তাহেই নির্ধারিত দিনে নিলামে বিক্রি করা হয় বলেও জানান তিনি।  

সর্বশেষ গত বছরের (২০২১ খ্রি.) ৬ নভেম্বর মসজিদের দানবাক্সগুলো খুলে গণনা করে তিন কোটি ৭ লাখ ১৭ হাজার ৫৮৫ টাকা পাওয়া যায়।

কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে আনুমানিক চার একর জায়গায় ‘পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স’ অবস্থিত। প্রায় আড়াইশ বছর আগে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে ইতিহাস সূত্রে জানা যায়। এই মসজিদের প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনেক কাহিনী প্রচলিত আছে, যা ভক্ত ও মুসল্লিদের আকর্ষণ করে।  

সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশ্বাস রয়েছে, এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। আর এ কারণেই মূলত দূর-দূরান্তের মানুষও এখানে মানত করতে আসেন। দানবাক্সে পাওয়া টাকা সাধারণত কমিটি, জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বশীলদের পরামর্শে বিভিন্ন মসজিদে দান-খয়রাত, মাদ্রাসার উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়ে থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।