কক্সবাজার: কক্সবাজার শহরের আদালত ভবন এলাকা থেকে এক তরুণীকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে চারজনের নামে থানায় মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) দুপুরে ওই তরুণী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ফিরোজ আহমদ, রাসেল উদ্দিন, নুরুল ইসলাম ও মো. শরীফ।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াস বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ভিকটিম থানায় লিখিত এজাহার দিয়েছেন। মঙ্গলবার এটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। শারীরিক পরীক্ষার জন্য ওই তরুণীকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ফিরোজ ও শরীফের কু প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ওই তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। সর্বশেষ সোমবার (১৪ মার্চ) দুপুরে তিনি কক্সবাজার আদালত এলাকায় এক আইনজীবীর কার্যালয় থেকে বের হলে আসামিরা তাকে ঘিরে ফেলেন। একপর্যায়ে ফিরোজ ও শরীফসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন এসে তার হাত-পা ও মুখ চেপে ধরে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেয়।
এরপর মাইক্রোবাসটি কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকার ল্যাবরেটরি স্কুলসংলগ্ন ফিরোজের আত্মীয় ফজল কাদেরের বাসায় যায়। এ সময় মাইক্রোবাস থেকে নামিয়ে ওই বাড়ির একটি কক্ষে তরুণীকে আটকে রেখে ফিরোজ ও শরীফ তাকে ধর্ষণ করেন। পরে নুরুল ইসলামও তাকে ধর্ষণ করে এবং তার মোবাইল ফোন ও টাকা নিয়ে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর রাসেল উদ্দিন ওই কক্ষে এসে নিজেকে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেন। ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে অথবা বাড়াবাড়ি করলে মানবপাচার মামলায় চালান করে দেওয়ার হুমকি দেন রাসেল। একপর্যায়ে রাসেলও ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন।
এ সময় ফিরোজ ওই তরুণীর স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা ছিনিয়ে নেন। দলবদ্ধ ধর্ষণের কারণে একপর্যায়ে ওই তরুণী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এরপর রাসেল ও শরীফ ওই তরুণীকে টেনে হিঁচড়ে বাড়ির বাইরে নিয়ে আসেন। এ দৃশ্য দেখে রাস্তায় থাকা এক ব্যক্তি তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) কল দিলে আসামিরা পালিয়ে যান। পরে পুলিশ এসে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২২
এসবি/আরএ