ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

করোনা মোকাবিলায় অসমতার চিত্র তুলে ধরলেন রাবাব ফাতিমা

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২২
করোনা মোকাবিলায় অসমতার চিত্র তুলে ধরলেন রাবাব ফাতিমা

ঢাকা: জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেছেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য ‘দোহা প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন (ডিপিওএ)’ এর সফল বাস্তবায়নে প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সংহতি ও অংশীদারিত্ব।  

জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সাধারণ পরিষদ হলে অনুষ্ঠিত ৫ম জাতিসংঘ এলডিসি সম্মেলনের প্রথম পর্বে দেওয়া বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

 

শুক্রবার (১৮ মার্চ) জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ এলডিসি-৫ কনফারেন্সটি দুই পর্বে বিভক্ত করে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয় এলডিসির দেশগুলোর দশকব্যাপী (২০২২-২০৩১) উন্নয়ন রোডম্যাপ বাস্তবায়নার্থে ‘দোহা প্রোগাম অব অ্যাকশন’ অনুমোদনের জন্য। দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে কাতারের রাজধানী দোহায় ২০২৩ সালে ৫-৯ মার্চ। দ্বিতীয় পর্বে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে যেখানে সদস্য রাষ্ট্রসমূহের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানগণের অংশগ্রহণের কথা রয়েছে।

জানা যায়, এলডিসি-৫ কনফারেন্সের প্রস্তুতি পর্বে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা ও জাতিসংঘে নিযুক্ত কানাডার স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত বব রে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন। ইভেন্টটিতে দুই যৌথ-সভাপতির পক্ষে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।  

এসময় তার বক্তব্যে তিনি কোভিড-১৯ অতিমারির ভয়াবহতা এবং এর মোকাবিলা ও সাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে অসমতার চিত্র তুলে ধরেন এবং এক্ষেত্রে ডিপিওএ গ্রহণের জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতিশ্রুতি ও সংহতির প্রশংসা করেন। রাষ্ট্রদূত ফাতিমা ডিপিওএ-এর সফল বাস্তবায়নে এর প্রতি গভীর মনোযোগ এবং এর ফলোআপ ও পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়াকে সমর্থন জোগাতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি অনুরোধ জানান।

ডিপিওএ -এর পুরো প্রক্রিয়া বা সাইকেলগুলোর বাস্তবায়নকালে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং উন্নয়ন সহযোগী রাষ্ট্র ও সংস্থাসমূহ যাতে অব্যাহত ও গভীরভাবে সংশ্লিষ্টতা থাকে সে আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। এক্ষেত্রে জাতিসংঘের সংস্থা, তহবিল ও কর্মসূচিসমূহ যাতে ডিপিওএ-কে তাদের কৌশলগত পরিকল্পনায় সন্নিবেশন করে নেয় এবং এলডিসির দেশগুলোর বাস্তবতা ও চাহিদার কথা মাথায় রেখে তাদের উন্নয়নে জাতিসংঘের প্রভাবকে যাতে কাজে লাগায় সে প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন তিনি।

সভার শুরুতেই কাতারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল-থানি এলডিসি-৫ সম্মেলনের সভাপতি নির্বাচিত হন। তাকে এবং কাতার সরকারকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন স্বল্পোন্নত দেশগুলোর বৈশ্বিক সভাপতি মালাউইয়ের প্রেসিডেন্ট লাজারাজ চাকভেরা এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এছাড়া জাতিসংঘের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্যরাষ্ট্রের প্রতিনিধিগণ ইভেন্টটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং বক্তব্য রাখেন। তারা ডিপিওএ গ্রহণ প্রক্রিয়াকে মসৃনভাবে এগিয়ে নিতে এর প্রস্তুতিমূলক পর্বের সফল সম্পাদনের জন্য বাংলাদেশ ও কানাডাকে ধন্যবাদ জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২২
টি আর/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।