ঢাকা, রবিবার, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০২ জুন ২০২৪, ২৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

হত্যার পর শিশুকে ধর্ষণ, চাচাতো ভাই গ্রেফতার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০২২
হত্যার পর শিশুকে ধর্ষণ, চাচাতো ভাই গ্রেফতার

নোয়াখালী: নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় আছমা আক্তার এক শিশুকে (৫) বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে হত্যার পর ধর্ষণ করেছে আপন চাচাতো ভাই। ঘটনার ১০ দিন পর শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত আসামি মো. শাহাদাত হোসেনকে (২২) গ্রেফতার করেছে চাটখিল থানা পুলিশ। তিনি উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেঘা গ্রামের মৃধা বাড়ির মো. বাবুলের ছেলে।

রোববার (৩ এপ্রিল) সকালে নিহত শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।  

এর আগে শনিবার (২ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে ঘটনার ১০ দিন পর উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেঘা গ্রামের মৃধা বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানায়, গত বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে নিজ বসত বাড়ির সামনে থেকে শিশু আছমা আক্তার নিখোঁজ হয়। এরপর শনিবার (২ এপ্রিল) রাত ১০টা পর্যন্ত নিখোঁজ ছিল। সে উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের মেঘা গ্রামের মৃধা বাড়ির মো. শাহাজাহানের মেয়ে। এ ঘটনায় তার বাবা শুক্রবার (২৫ মার্চ) চাটখিল থানার একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

জিডিতে বলা হয়, শিশু আছমা সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে বসত বাড়ির সামনে যায়। পরে তাকে দেখতে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা বাড়ির আশপাশে ও নিকট আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করে। খোঁজ না পেয়ে একপর্যায়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা।

পুলিশ ও স্থানীয়রা আরও জানায়, ওই জিডির সূত্র ধরে তদন্ত নামে পুলিশ। একপর্যায়ে ৯ দিনের মাথায় শুক্রবার (১ এপ্রিল) দিবাগত রাতে নিহত শিশুর আপন চাচাতো ভাই শাহাদাতকে সন্দেহজনকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তার দেওয়া তথ্যমতে ঘটনার ১০ দিন পর নিহতের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
 
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্ত আসামি শিশু আছমাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর প্রথমে তাকে হত্যা করে তারপর ধর্ষণ করে মরদেহ বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়।

ওসি আরও জানান, নিখোঁজ শিশুর বাবা এ ঘটনায় চাটখিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডির সূত্র ধরে তদন্তে নেমে পুলিশ আসামিকে গ্রেফতার করে। পরে আসামির ভাষ্যমতে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নির্বিঘ্নে ধর্ষণ করতে অভিযুক্ত আসামি প্রথমে শিশুকে হত্যা করে বলে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানায়।

বাংলাদেশ সময়: ১২১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।