ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

পৈত্রিক সম্পত্তি-জীবন রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২২
পৈত্রিক সম্পত্তি-জীবন রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

ঢাকা: পৈত্রিক সম্পত্তি ও জীবন রক্ষার জন্য সিলেটের কোতয়ালী থানার অনামিকা শাহী ঈদগাহ এলাকার নিমার উদ্দিনের ছেলে গিয়াস উদ্দিন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে ওই এলাকার মৃত ফিরোজ খানের ছেলে মো. ফারুক খান ও তার পরিবারবর্গ প্রধানমন্ত্রী ও আইনশৃংখলা বাহিনীর যথাযথ হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।  

সোমবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এই  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।

লিখিত বক্তব্যে মো. ফারুক খান বলেন, বিগত কয়েক বছরযাবৎ আমার পৈত্রিক জমি গিয়াস উদ্দিনগং অন্যায়ভাবে জবরদখলের চেষ্টা করছেন। তারা বিভিন্ন সময়ে আমাকে পরিবারসহ উচ্ছেদের জন্য হুমকি দিয়ে আসছেন। ওই জমিতে আমাদের নামে ৮টি গ্যাস লাইন, ১৫টি বিদ্যুৎ মিটার, ২টি পানির লাইন, ১১টি সিটি হোল্ডিং নাম্বার নিয়ে ৫৩ বছর ধরে বসবাস করে আসছি। গিয়াস উদ্দিনগং ১৬ মার্চ আমার পৈত্রিক ফিরোজ খান মার্কেটের সামনে আনুমানিক রাত আড়াইটার দিকে ৬-৭ ট্রাক বালু স্তুপ করে মার্কেট খোলা ও বিক্রয় কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। মূলত অবৈধভাবে জায়গা ও মার্কেট দখলে নেওয়ার জন্যই তারা এ কাজ করে। এছাড়া এরা সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দফায় দফায় হামলা চালাচ্ছে। আমরা একাধিকবার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েও কোনো সমাধান পাচ্ছি না। কারণ, গিয়াস উদ্দিনগংদের সঙ্গে প্রশাসনের সু-সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষ করে সিলেটের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা সরোয়ার হোসেনের ভাগিনা পরিচয় দিয়ে গিয়াস উদ্দিন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।  

তিনি বলেন, ২০ মার্চ আনুমানিক বিকেলে গিয়াস উদ্দিন বাহিনীর সন্ত্রাসীরা আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ির নারীদের মারপিট করে। বাড়ির সামনের মার্কেটের ১১ টা দোকানের মধ্যে ১টি দোকানের তালা ভেঙে মালামাল লুটপাট করে। মার্কেটের সাইনবোর্ড ও সিসি ক্যামেরাসহ ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।

ভাঙচুর করা ওই দোকানটি আমার নিজের। যা ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্ত এক্সপোর্ট কালেকশনের দোকান। তখন জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ যোগাযোগ করলে পুলিশের সহায়তায় কিছুক্ষণের জন্য তাদের তান্ডব বন্ধ হয়। তবে পুলিশ চলে গেলে আবার তারা মার্কেট ও বাড়িতে হামলা চালায়। তারা মার্কেটের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিয়েছে, মার্কেটের সামনে স্তুপকৃত বালু ও সন্ত্রাসীদের হুমকির কারণে মার্কেটের ভাড়াটিয়ারা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।  

ফারুক খান অভিযোগ করে বলেন, পৈত্রিক সম্পত্তি ও জীবন রক্ষার জন্য দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সিলেট কোতয়ালী থানা বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত অবগত আছে। এই বিষয় নিয়ে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে ১৭ মার্চ সাংবাদিক সম্মেলন ও মামলা করেছি।  
এছাড়াও আমরা গিয়াস উদ্দিন গংয়ের হাত থেকে রেহাই পেতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয়সহ সিলেটের কমিশনার, জেলা প্রশাসক, মেয়র, দুদক, এন.এস.আই, ডিজিএফআই ও স্থানীয় কাউন্সিলর বরাবর আবেদন করেছি। এতেও কোনো সমাধান হয়নি।   

সব শেষে তিনি বলেন, আমরা বাঁচতে চাই। আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি ও জীবন রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও আইনশৃংখলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।  

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- ফারুক খানের বড় ভাই মমিন খান ও বোন জামাই আরিফ আহমদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২২ 
এমএমআই/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।