ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

৮ দিন আত্মগোপনে ছিলেন আশিষ, সঙ্গে ২ নারী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০২২
৮ দিন আত্মগোপনে ছিলেন আশিষ, সঙ্গে ২ নারী আসামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল

ঢাকা:  গুলশান-২ নম্বরের ২৫/বি ফিরোজা গার্ডেন নামে একটি বাসায় গত ৮ দিন ধরে আত্মগোপনে ছিলেন  আসামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল।

র‌্যাব সদর দফতর ও র‌্যাব-১০ এর টিম তল্লাশি চালিয়ে ওই বাসায় তার অবস্থান শনাক্ত করে এবং মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) রাতে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গ্রেফতার অভিযান শেষে সাংবাদিকদের বলেন, চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত ১ নম্বর আসামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল রাজধানীর গুলশানের এই বাসায় ৩০ মার্চ থেকে আত্মগোপনে ছিলেন।

খন্দকার আল মঈন বলেন, ২৮ মার্চ তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। এরপর থেকে তিনি  আত্মগোপনে যান। আমরা গোয়েন্দা তথ্য ও অনুসন্ধানের ভিত্তিতে ৮ দিনের মাথায় তার অবস্থান শনাক্ত করে গ্রেফতর করতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি বলেন, গ্রেফতার আশিষ রায়ের বাসা মিরপুর ডিওএইচএস। সেখানে অভিযান পরিচালনা করে তাকে পাওয়া যায়নি। নিজের গ্রেফতার এড়াতেই গুলশানের এই বাসায় আত্মগোপন করেছিলেন তিনি।

র‌্যাবের মুখপাত্র আরও বলেন, অভিযানে এই বাসা থেকে ২৩ বোতল বিদেশি মদ, বেশ কিছু বিয়ার ও সিসা  সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

খন্দকার আল মঈন বলেন, গুলশানের এই বাসাটিতে আমরা দু’জন নারীকে পেয়েছি। তাদের আটক করা হয়েছে।  কিন্তু আসামি আশিষ রায় চৌধুরীর পরিবার এখানে থাকেন না। দুজন নারীর পরিচয় ও কী উদ্দেশ্যে তারা এই বাসায় ছিলেন, তা জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে। আশিষ রায় একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন বলেও যোগ করেন তিনি।

র‌্যাবের মুখপাত্র বলেন, চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যায় তার সম্পৃক্ততা ও বিস্তারিত আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব, আগামীকাল সব জানানো যাবে বলে আশা করছি।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী বাদি হয়ে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এই হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর কথা কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। আশীষ রায় চৌধুরী ও আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ নয় জনের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) আবুল কাশেম ব্যাপারী ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

গ্রেফতার আসামি আশীষ রায় চৌধুরী নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত ১ নম্বর আসামি। তিনি একাধিক বেসরকারি এয়ারলাইনসের ঊর্ধ্বতন পদে ছিলেন। সর্বশেষ তিনি জিএমজি এয়ারলাইনসের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) ছিলেন।

***সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

বাংলাদেশ সময়: ০১১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২২
এসজেএ/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।