ঢাকা, শনিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

পুলিশকে সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২২
পুলিশকে সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ঢাকা: পুলিশ বাহিনীকে সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পুলিশকে জনগণের পুলিশ হতে হবে। ’

রোববার (১০ এপ্রিল) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক ‘দেশের ৬৫৯টি থানায় নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের সেবায় স্থাপিত সার্ভিস ডেস্ক’-এর উদ্বোধন এবং ‘গৃহহীনদের জন্য নির্মিত গৃহ হস্তান্তর’ অনুষ্ঠানে এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে সরকার প্রধান বলেন, ‘আপনারা জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাদের পাশে থাকবেন ও তাদের কল্যাণে কাজ করে যাবেন- সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর পুলিশ বাহিনীর জন্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো, বিশেষায়িত বাহিনী গড়ে তোলা, সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। কাজেই সততার সঙ্গে আপনারা কাজ করে যাবেন সেটাই আমরা চাই। ’

পুলিশ জনগণের আস্থা অর্জন করেছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক বার্তা- পুলিশকে জনগণের পুলিশ হতে হবে। আমি মনে করি, হেল্প ডেস্ক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নারী-শিশু, বয়স্ক প্রতিবন্ধীদের সেবাদান করা এবং গৃহহীনদের গৃহ দেওয়া এটা জনগণের পুলিশেরই কাজ। আজকে জনগণের পুলিশ হিসেবে আপনারা মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন। ’

‘সুপ্রশিক্ষিত একটা বাহিনী, যে বাহিনী মানুষের পাশে থাকবে, মানুষের কল্যাণ করবে, মানুষের কাজ করবে, আমরা সেটাই চাই, সেভাবে আমরা গড়ে তুলতে চাই। ’

পুলিশের হেল্প ডেস্ক স্থাপন এবং গৃহহীনদের ঘর দেওয়ার কার্যক্রমের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি থানায় নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্ক স্থাপন এবং তাদের সেবা দেওয়া; সেই সঙ্গে গৃহহীন মানুষকে ঘর তৈরি করে দেওয়া এটা পুলিশের একটি মহতী উদ্যোগ। ’

হেল্পে ডেস্কে যারা কাজ করবেন যাদের প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা কাজ করবেন তাদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আছে। আমরা সব সময় প্রশিক্ষণকে গুরুত্ব দিয়ে থাকি। প্রয়োজনে বিদেশেও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দেব। ’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পুলিশ জনগণের সেবক হবে, জনগণের আস্থা অর্জন করবে। পুলিশের কাছে গেলে ন্যায়বিচার পাবে- এই আত্মবিশ্বাসটা যেন মানুষের মাঝে সবসময় থাকে। পুলিশকে সবসময় সেই সেবা দিয়ে যেতে হবে। ’

পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন টানা তিনবারের সরকার প্রধান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। কাজেই এই স্বাধীনতা সমুন্নত রেখে মানুষের সেবা করাই আমার দায়িত্ব। ’

রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স প্রান্ত থেকে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ।

উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে চট্টগ্রাম, রংপুর ও খুলনার বিভিন্ন থানায় সংযুক্ত হয়ে উপকারভোগী এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২২
এমইউএম/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।