ঢাকা, বুধবার, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফের সংঘর্ষে জড়ালে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: ফরিদপুর এসপি

হারুন-অর-রশীদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২২
ফের সংঘর্ষে জড়ালে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: ফরিদপুর এসপি

ফরিদপুর: ফের কোনো এলাকায় কাইজা-সংঘর্ষে জড়ালে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না হুঁশিয়ার করে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলিমুজ্জামান বলেন, যারা ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বার আছেন, এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করুন। জনগণের পাশে থাকুন, ভালো কাজ করুন।

 

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় চলমান সংঘর্ষ নিরসনের লক্ষ্যে শনিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে জনপ্রতিনিধি, গ্রাম্য মাতুব্বর ও সাংবাদিকদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সালথা উপজেলা মাল্টিপারপাস হল রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সাদীক।  

যেকোনো প্রয়োজনে পুলিশকে জানানোর আহ্বান জানিয়ে এসপি আলিমুজ্জামান বলেন, আইন কখনো নিজের হাতে তুলে নেবেন না। পুলিশ সর্বদা আপনাদের পাশে আছে। পুলিশকে বন্ধু ভাবুন।

এসপি আলিমুজ্জামান আরও বলেন, কোনো অন্যায়কারীকে পুলিশ ছাড় দেবে না। সংঘর্ষ করে কেউ লাভবান হতে পারে না। আপনি বিপদে পড়লে আপনার প্রতিবেশীই আপনার পাশে থাকবে। তাই প্রতিবেশীর সঙ্গে মিলেমিশে বসবাস করুন। দাঙ্গা-সংঘর্ষ পরিহার করুন। সংঘর্ষ করে লাভবান হওয়া যায় না। আপনাদের ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা করান। শিক্ষিত মানুষ তৈরি করুন। যাতে আপনার ছেলে-মেয়ে সমাজে ভালো কাজে উদ্বুদ্ধ হয়।  

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর কনিষ্ঠপুত্র ও তাঁর রাজনৈতিক প্রতিনিধি বিশিষ্ট কৃষি গবেষক শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী।



বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিটি গ্রাম থেকে ঢাল-সড়কিসহ সংঘর্ষে ব্যবহৃত দেশীয় সব ধরনের অস্ত্র প্রশাসনের কাছে জমা দিতে হবে। এ এলাকায় আর কোনো সংঘর্ষ আমরা দেখতে চাই না। আমার মা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী আজীবন আপনাদের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন। তাই এই এলাকায় আর কোনো অরাজকতা দেখতে চাই না। পুলিশ কোনো সংঘর্ষকারীকে ছাড় দেবে না। তাই সবাই মিলেমিশে এলাকায় বসবাস করুন। সংঘর্ষ পরিহার করুন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সালথা-নগরকান্দা সার্কেল) মো. সুমিনুর রহমান, সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর, সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ফারুক উজ্জামান ফকির মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী সাব্বির আলী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও আটঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. শহীদুল হাসান খান সোহাগ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুপা বেগম, সালথা উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান লেবু মোল্যাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, সংরক্ষিত নারী সদস্য ও গ্রাম্য মাতুব্বরা।

ফরিদপুরের সালথায় গত ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে উপজেলার আটটি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হলেও উপজেলার সর্বত্র নির্বাচন পরবর্তীকালের সহিংসতা ও গ্রাম্য দল-পক্ষকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বেড়েই চলেছে। নির্বাচন পরবর্তী দাঙ্গা-হাঙ্গামার কারণে সাধারণ জন-জীবন ব্যাহত হচ্ছে, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মাঠের ফসল থেকে শুরু করে শিক্ষা ব্যবস্থাসহ সবকিছু। চলতি মাসে উপজেলার সর্বত্র প্রায় ২৫-৩০টির মতো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় পুলিশের হাতে আটক-গ্রেফতার হয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান, গ্রাম্য মাতুব্বরসহ শতাধিক ব্যক্তি।

>> সালথায় কাইজা-সংঘর্ষ বন্ধে পুলিশ সুপারের হুঁশিয়ারি 
>> সালথায় সংঘর্ষের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ আটক ৮


বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।