ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

রেলের উৎকৃষ্ট নেটওয়ার্ক থাকার পরও টিকিট ভোগান্তি দুঃখজনক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২২
রেলের উৎকৃষ্ট নেটওয়ার্ক থাকার পরও টিকিট ভোগান্তি দুঃখজনক

ঢাকা: বাংলাদেশ রেলওয়ের টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি সেবা সরবরাহের অন্যতম মাধ্যম ফাইবার অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক রয়েছে। দেশের ৬টি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচাইতে উৎকৃষ্ট ফাইবার হচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ের।

এমন প্রযুক্তি থাকার পরও এই প্রতিষ্ঠানের অনলাইন সেবা অত্যন্ত নাজুক যা খুবই দুঃখজনক।

রোববার (২৪ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে গ্রাহক অধিকার নিয়ে সোচ্চার বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি  মহিউদ্দিন আহমেদ এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, অনলাইনের মাধ্যমে টিকিট প্রদানে দীর্ঘদিনের অনিয়ম ও সমস্যা থাকার পরও প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের প্রযুক্তিবান্ধব কোনো আলাদা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেনি। যখন সারা দেশে সড়কে দুর্ভোগ, তখন রেলের ওপর চাপ পড়বে এটাই স্বাভাবিক। আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে ইতোপূর্বের প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করে সহজ ডট কমকে দায়িত্ব দেওয়ায় আরও দুর্ভোগ এবং অনিয়মের চিত্র উঠে এসেছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের নিরবচ্ছিন্ন ফাইবার নেটওয়ার্ক পাওয়া সম্ভব একমাত্র রেলওয়ের অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে। এই প্রতিষ্ঠান ফাইবার অন্যরা ব্যবহার করে মুনাফা করলেও রেলওয়ে নিজস্ব ব্যবহারে এবং চাহিদা থাকা সত্ত্বেও তারা কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে কেন পারছে না, তা প্রশ্নসাপেক্ষ।  তাদের কারিগরি সহায়তার জন্য আইসিটি বিভাগ, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন, এমনকি টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে পদক্ষেপ নিতে পারত। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণকে সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হতো। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বাদ দিয়ে রাষ্ট্রীয় সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয় করা অত্যন্ত জরুরি বলে আমরা মনে করি।

বিবৃতিতে বলা হয়, জনগণের দুর্ভোগ বিবেচনা করে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে দ্রুত সমন্বয় করে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রযুক্তিবান্ধব সেবা প্রদানে রেলওয়েকে একীভূত করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, চলমান দুর্ভোগের জন্য বর্তমান সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহিতার আওতায় কেন আনা হবে না?

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, ২৪ এপ্রিল, ২০২২
এমআইএইচ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।