টাঙ্গাইল: পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইল অংশের গোড়াই উড়াল সেতুটি খুলে দেওয়া হলেও যানজটের শঙ্কা কাটেনি উত্তরবঙ্গগামী মানুষের।
এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার সড়ক দুই লেন থাকায় এ শঙ্কা রয়েই গেছে।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে যান চলাচলের জন্য গোড়াই উড়াল সেতু (ফ্লাইওভার) খুলে দেওয়া হয়। একই দিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে নলকা সেতুর এক লেন খুলে দেওয়া হয়।
![](https://banglanews24.com/public/userfiles/images/01-01-2022/27-4/20220427_131935.jpg)
এদিকে উড়াল সেতু খুলে দেওয়ায় উত্তরবঙ্গের মানুষ স্বস্তিতেই বাড়ি ফিরতে পারবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) মহাসড়কের টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া, আশেকপুর, রসুলপুর, কালিহাতী উপজেলার পৌলী, এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপার পর্যন্ত গিয়ে দেখা যায়, স্বাভাবিকের চেয়ে যানবাহনের চাপ কিছুটা বেড়েছে। তবে যাত্রীবাহী যানবাহনের চেয়ে মহাসড়কে ট্রাকের সংখ্যাই বেশি।
বঙ্গবন্ধু সেতু টোলপ্লাজা সূত্র জানায়, সোমবার (২৫ এপ্রিল) দিনগত রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার দিনগত রাত ১২টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে ২৩ হাজার ৬১১টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গের দিকে পার হয়েছে ১১ হাজার ৯১৮টি এবং উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকার দিকে পার হয়েছে ১১ হাজার ৬৯৩টি যানবাহন। স্বাভাবিক অবস্থায় এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন ১২/১৩ হাজার যানবাহন পারাপার হয়।
ঈদকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধু সেতুর টোলপ্লাজায় টোল আদায়ের জন্য লেনের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। স্বাভাবিক অবস্থায় তিন/চার লেনে টোল আদায় করা হয়। ঈদকে সামনে রেখে সাতটি লেনে বাস-ট্রাক, প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসের জন্য টোল আদায় করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর বাইরেও মোটরসাইকেলের জন্য পৃথক দু’টি লেন করা হয়েছে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. আতোয়ার রহমান বলেন, ঈদকে সামনে রেখে যানবাহনের চাপ একটু বেশি। তবে যান চলাচল এখনো স্বাভাবিক রয়েছে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বাংলানিউজকে জানান, ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পর্যন্ত চারলেন সড়ক। এরপর থেকে সেতু পর্যন্ত সড়ক দুই লেনের। যানবাহনের চাপে এখানে জট সৃষ্টি হয়। এ যানজট এড়াতে এবার এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার সড়ক এক মুখী (ওয়ান ওয়ে) করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন এ সড়ক দিয়ে সেতু পর্যন্ত যাবে। অপরদিকে উত্তরবঙ্গ থেকে সেতু পার হয়ে আসা যানবাহনগুলো বিকল্প সড়ক ভুঞাপুর হয়ে এলেঙ্গা পর্যন্ত আসবে। যাবাহনের চাপ বাড়লে এ ওয়ান ওয়ে ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২২
এসআই