ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সালথায় কৃষকের বাড়িতে খাবার খেয়ে অসুস্থ ৮, হাসপাতালে ভর্তি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৭ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০২৪
সালথায় কৃষকের বাড়িতে খাবার খেয়ে অসুস্থ ৮, হাসপাতালে ভর্তি

ফরিদপুর: ফরিদপুরের সালথায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক কৃষকের বাড়িতে খাবারে বিষক্রিয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে একই পরিবারের ৮ জন ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এরমধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এ ঘটনায় সোমবার (৮ জুলাই) ওই কৃষকের পরিবারের পক্ষ থেকে সালথা থানায় মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।  

এর আগে গত শনিবার (৬ জুলাই) রাত ৮টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়িয়ার যুগিডাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  

বিষক্রিয়ায় অসুস্থরা হলেন- ডালিয়া বেগম (৩৫), ডালিয়ার মেয়ে যুথী (১৬), একই পরিবারের পপি (২৫), হৃদয় (১৬), ফাতেমা (৮), মিম (৯), অনিতা (২২) ও রাজিব (২০)।

এলাকাবাসী ও কৃষকের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার কাঁঠালবাড়িয়ার যুগিডাঙ্গা গ্রামের কৃষক জয়নাল মাতুব্বরের বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনদের পিঠার দাওয়াত করা হয়। এ সময় পূর্ব বিরোধের জের ধরে সুম্রাট মাতুব্বর (৩৬) নামে এক প্রতিবেশী ওই পরিবারের গরুর গোশতের মধ্যে বিষ প্রয়োগ করে বলে দাবি কৃষক জয়নালের পরিবারের। অতঃপর রাত ৮টার দিকে পরিবারের সবাই মিলে রাতের খাবার খাওয়ার আধা ঘণ্টা পর একে একে ৮ জন মাথা ঘুরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে ওইদিন রাত ১১টার দিকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। একটু সুস্থ হওয়ার পর রোববার (৭ জুলাই) বাড়িতে গেলে ফের অসুস্থ হওয়ায় সোমবার দুপুরে আবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তারা। এ ঘটনার পর থেকে পরিবারটি আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।

বিষপ্রয়োগের অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য জানতে সুম্রাট মাতুব্বরের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে খাবারে বিষ দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সুম্রাট মাতুব্বরের ভাবি রুমা বেগম।

রুমা বেগম বলেন, ‘রাতের আঁধারে কে বা কারা খাবারে বিষ দিয়েছেন তা একমাত্র আল্লাহই বলতে পারবেন। যারা খাবারে বিষ দেওয়ার কথা বলছেন তারাও তো আমাদের আত্মীয়। কেনই বা সম্রাট খাবারে বিষ দিতে যাবে। ওই রাতে খাবারে কে বিষ দিয়েছেন সেটা তো কেউ দেখেনি। আমিও চাই যে খাবারে বিষ দিয়েছেন তার বিচার হোক। ’

এ ব্যাপারে গট্টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান লাভলু বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। আমি রোগীদের আজই হাসপাতালে দেখতে যাবো। এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কঠোর বিচার দাবি করছি। ’

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা-সালথা সার্কেল) মো. আসাদুজ্জামান শাকিল জানান, বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে জানানো হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০২৪
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।