মানিকগঞ্জ: সময় যতো ঘনিয়ে আসছে পাটুরিয়ায় ফেরিঘাট এলাকায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে প্রায় ২১টি জেলার ঘরমুখো যানবাহনের সারি দীর্ঘ হচ্ছে তবে কোনো ভোগান্তি ছাড়াই পার হচ্ছে নৌপথ।
শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) সকাল পৌনে ১০টার দিকে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় যাত্রীবাহী পরিবহনের চেয়ে ছোট ব্যক্তিগত যানবাহনের চাপ বেড়েছে এমন তথ্য নিশ্চিত করেন বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ।
যশোরগামী ছোট গাড়ির যাত্রী মনির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সকালের দিকে ঘাট এলাকায় এসে পৌঁছেছি, ঘণ্টা খানেক অপেক্ষার পর ফেরির দেখা পেয়েছি এবং কিছু সময়ের মধ্যে ফেরিতে উঠবো বলে মনে হচ্ছে।
এই একই অঞ্চলের আরো এক ঈদে ঘরমুখো যাত্রী পিয়াল ব্যাপারি বলেন, ঢাকা থেকে বের হওয়ার সময় ভাবছিলাম রাস্তায় কিছুটা যানজটের শিকার হবো কিংবা ঘাট এলাকায় এসে বিড়ম্বনায় পড়বো, এ বছর তার কোনো বালাই নাই ঘাট এলাকায়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা সেক্টরের ডিজিএম শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ বাংলানিউজকে বলেন, ভোর বেলা থেকেই ছোট গাড়ির বেশ চাপ ছিলো তবে কোনো গাড়িকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হয়নি। বড় যাত্রীবাহী পরিবহনের তেমন চাপ নাই তবে রাস্তায় কাটা গাড়ির বেশ চাপ রয়েছে আর ওই কাটা (লোকাল) গাড়ির যাত্রীরাও ফেরিতে পার হচ্ছে। সন্ধ্যা কিংবা আগামীকাল থেকে হয়তো কিছুটা বাড়তি চাপ পড়তে পারে। ঈদ যাত্রার জন্য পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ছোট বড় মিলিয়ে ২১টি ফেরি চলাচল করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২২
এনটি