ঢাকা, রবিবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঈদে মায়ের কাছে যাচ্ছে পোষা বিড়াল মোটু-পিকু!

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২২
ঈদে মায়ের কাছে যাচ্ছে পোষা বিড়াল মোটু-পিকু!

কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে: দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ। তাইতো নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ।

ঘরে ফেরার তাড়া এখন অনেক। তা যেমন মানুষের, তেমনি আমাদের প্রিয় পোষা প্রাণিটিরও। রাজধানীর বিজয় সরণির বাসিন্দা জান্নাতুল ইউষা। এবার ঈদযাত্রায় তার সঙ্গী হয়েছে তার এক জোড়া পোষা বিড়াল পিকু এবং মোটু। এবার ঈদে আর সবার মতো তারাও যেন নাড়ির টানে ট্রেনে করে বাড়ি যাচ্ছে সবার সঙ্গে আনন্দে মাততে।

হ্যাঁ, শুনে একটু আশ্চর্যই হতে হয়। তবে গল্পটা বেশ মজার। আর মজার এই গল্পটা শোনালেন ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ইউষা। শনিবার (৩০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কমলাপুর রেলস্টেশনের ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে কথা হয় তার সঙ্গে।

ইউষা বলেন, আমার দাদুর বাড়ি কিশোরগঞ্জে। দাদুর বাড়িতে আমাদের একটা বিড়াল আছে। একবার সেই বিড়ালটা তিনটি বাচ্চা দেয়। সেখান থেকে দুটি বাচ্চা আমি নিয়ে আসি ঢাকাতে। তখন ওদের বয়স ছিল দেড় মাস। এখন ওরা ১০ মাস বয়সী। আমি যেমন দাদু বাড়ি যাচ্ছি, বলা যায় ওরাও যাচ্ছে মায়ের কাছে, নানুর বাড়ি!

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের যাত্রীরা যখন প্লাটফর্ম থেকে ট্রেনে উঠতে ব্যস্ত, ঠিক তখনই পিকু খেলছিল ইউষার কোলে। সামনের দুই পায়ে শক্ত করে জড়িয়ে রেখেছিল তার কাঁধ। ট্রেনের ভেতর সে দৃশ্য বেশ মজা করেই উপভোগ করছিল পাশের ছিটের শিশু আর অন্যান্যরা। এরপর একটু কথা হতেই দেখা মেলে অপর বিড়াল মোটুর। সে তখন সময় পার করছিল তার প্রিয় লাল রঙের ক্যাট ক্যারিয়ার ব্যাগে। তাকে সামনে আনলেন ইউষা'র বাবা মো. ইয়াহিয়া ভূঁইয়া।

এবারের ঈদে সপরিবারে ঈদ করতে গ্রামে যাচ্ছেন তারা। এ অবস্থায় প্রাণী দুটোকে একা বাসায় রেখে যেতে চাননি জান্নাতুল ইউষা। তাইতো পরিবারের সবার সঙ্গে পরিবারের সদস্য হয়েই পিকু আর মোটুর ট্রেন যাত্রা। আর সবার মতো মায়ের কাছে ফেরা।

এদিকে ঈদ উপলক্ষে ট্রেনযাত্রার চতুর্থ দিন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ছিল উপচে পড়া ভিড়। তবে প্রতিটি প্লাটফর্ম থেকে ট্রেন ছেড়ে গেলেই প্লাটফর্মগুলো একেবারেই ফাঁকা হয়ে গেছে। এছাড়া সবগুলো ট্রেন প্রায় সময়মতো ছাড়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা।

এ বিষয়ে তারাকান্দিগামী অগ্নিবীনা ট্রেনের যাত্রী আবু ওহাব বলেন, এটা স্বস্তির যে ট্রেন সময়মতো ছাড়ছে। তবে এয়ারপোর্ট স্টেশনে গেলে বগিতে দাঁড়ানোর জায়গা থাকবে না। তখন কষ্ট বোঝা যাবে। যত কষ্টই হোক, বাড়িতে ফিরতে হবে, এটা আমার এবং আর দশজন মানুষের ভাবনা। তবে বহুদিন পর বাড়ি যাবো, পরিবারের সবার সঙ্গে ঈদ করবো, এটা ভেবে আনন্দ লাগছে।

কমলাপুর রেল স্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বাংলানিউজকে বলেন, এবারের ঈদযাত্রা সবচেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যময় ও নিরাপদ হয়েছে। হাতে গোনা কয়েকটি ট্রেন ২০ থেকে ৪০ মিনিট দেরিতে কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে যাচ্ছে। এটাকে সিডিউল বিপর্যয় বলা চলে না। সময়মতো ট্রেন ছাড়া নিয়ে যাত্রীরা স্বস্তি প্রকাশ করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২২
এইচএমএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।