ঢাকা, শনিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

সাড়ে পাঁচ লাখ শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ, সুরক্ষা দেওয়া হবে: ইন্দিরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫০ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২২
সাড়ে পাঁচ লাখ শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ, সুরক্ষা দেওয়া হবে: ইন্দিরা

ঢাকা: সমাজভিত্তিক সমন্বিত শিশু যত্ন কেন্দ্রের মাধ্যমে পাঁচ লাখ ৬০ হাজার শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ, সুরক্ষা ও সাঁতার সুবিধা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু শারীরিক, বুদ্ধিবৃত্তিক, সামাজিক ও আবেগীয় বিকাশের জন্য শিশুদের জীবনের প্রথম আট বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এ সময়ে শিশুর শিক্ষা ও বিকাশের ভিত্তি রচিত হয়।

শনিবার (১৪ মে) ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তন থেকে ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে  ‘বাংলাদেশ আরলি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট নেটয়ার্ক’ (বেন) আয়োজিত জাতীয় ইসিডি সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ইসিডি নেটয়ার্কের সভাপতি ড. মঞ্জুর আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার ও ইউনিসেফ বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ মি. শেলডন ইয়েট। সম্মেলনে কি-নোট উপস্থাপন করেন ইন্টারন্যাশনাল এক্সপার্ট অন চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট ড. জোয়ান লোম্বার্ডি।

প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, শিশুর সঠিক প্রারম্ভিক বিকাশ মেধাসম্পন্ন জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ। একটি মেধাসম্পন্ন জাতি গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শিশু বান্ধব সরকার শিশুর খাদ্য, পুষ্টি, স্বাস্থ্যসেবা, সুরক্ষা ও শিক্ষা নিশ্চিত করছে। গর্ভাবস্থা থেকেই মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি চালু করেছে।  

তিনি বলেন, জাতির পিতা সংবিধানে শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ১৯৭৪ সালে শিশু আইন প্রণয়ন করেন। দেশ স্বাধীনের পর পরই শিশুদের জন্য অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা করেন। শিশু মৃত্যু ও মাতৃ মৃত্যু রোধ এবং প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ ও কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সাত লাখ ৭০ হাজার দরিদ্র মা’র জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা ও দুই লাখ ৭৫ হাজার কর্মজীবী মা’র জন্য ল্যাক্টেটিং মা ভাতা কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। সরকারের ১৫টি মন্ত্রণালয় শিশুকেন্দ্রিক বাজেট বাস্তবায়ন করছে। একই সঙ্গে শিশুর উন্নয়নে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, মেধাসম্পন্ন জাতি গঠনে সরকার গর্ভাবস্থা থেকে মা ও শিশুর পুষ্টি ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে ভাতা প্রদান করছে। শিশুর উন্নয়ন ও সুরক্ষায় সরকারি ও উন্নয়ন সংস্থাকে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।

এবারের ইসিডি সম্মেলনে শিশুর পুষ্টি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সুরক্ষা বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন ছয়টি প্লেনারি সেশন অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে সরকারি, জাতিসংঘ, দেশি-বিদেশি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ গ্রহণ করবে। এ সম্মেলনে দেশ-বিদেশের দেড় শতাধিক ইসিডি প্রাকটিশনার ও প্রতিনিধি অংশ নেন।  

এবারের সম্মেলনে প্রতিপাদ্য বিষয় ‘আরলি ইনভেস্টমেন্ট মেটার্স’।

সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুজ্জামান ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২২
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।