ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

যেভাবে গ্রেফতার হন পিকে হালদার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৬ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২২
যেভাবে গ্রেফতার হন পিকে হালদার পি কে হালদার

কলকাতা: কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে গা ঢাকা দিয়েছিলেন বাংলাদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার । তিনি শিবশংকর হালদার নামে নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিতেন।

বানিয়ে ফেলেছিলেন ভারতীয় ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড, রেশন কার্ডসহ বিভিন্ন ভারতীয় নথি। নিয়মিত ভোট দিতেন, নিযুক্ত ছিলেন সরকারি চাকরিতেও।

কিন্তু শনিবার (১৪ মে) ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে ধরা পড়েন তিনি। তার সঙ্গে গ্রেফতার হন আরও পাঁচজন। রোববার (১৫ মে) বাংলাদেশের আর্থিক খাতের শীর্ষ জালিয়াত প্রশান্ত কুমার পিকে হালদারসহ ছয়জনকে তিনদিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার গ্রেফতারের পর ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়েছিল আসামিদের। পরে তাদের মধ্যে ৫ জনকে রিমান্ডে নিয়েছিল ইডি। একজন জেলে ছিলেন। রোববার ভারতীয় সময় দুপুর ১২টার দিকে কলকাতার আদালতে তোলার কথা রয়েছে পিকে হালদারসহ তার সঙ্গে গ্রেফতার ব্যক্তিদের। তবে, ভারতে এদিন ছুটির দিন হওয়ায় আসামিদের বিশেষ আদালতে তোলা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইডি জানিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা অশোকনগরে বসবাস করতেন প্রশান্ত কুমার হালদার, তার ভাই গনেশ হালদার, ইমাম হোসেন, স্বপন মৈত্র, উত্তম মৈত্র ও আমানা সুলতানা। আমানা সার্লি হালদার নামধারণ করে সেখানে বসবাস করতেন। তাকেই জেলে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু, তাকে  কতদিন জেলে রাখা হবে; জানা যায়নি।

ব্যাংক জালিয়াতির ঘটনায় পিকে হালদারের বিষয়ে ২০১৯ সালে রেড অ্যালার্ট জারি করেছিল বাংলাদেশ সরকার। ভারতীয় গোয়েন্দা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে কানাডা, কখনও কলকাতা; আবার কখনো উত্তর ২৪ পরগনা যাতায়াত করেছেন পিকে হালদার। এর মধ্যেই তিনি ভারতীয় নথিগুলো তৈরি করেন। নাম পাল্টে হয়ে যান শিব শংকর হালদার। এ নামে কয়েকবার তিনি বাংলাদেশেও যাতায়াত করেন।

চলতি বছরের মার্চের শেষে যশোরের বেনাপোল হয়ে উত্তর ২৪পরগনা অশোকনগরে চলে যান পিকে হালদার। তখনই ভারতীয় গোয়েন্দাদের নজরে আসেন তিনি। তার ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি নিশ্চিত হয় গোয়েন্দা সদস্যরা। আর্থিক বিষয় হওয়ায় দেশটির ইডি’র কাছে এ সম্পর্কিত নথি পাঠায় গোয়েন্দা দপ্তর। তাদের তদন্তের ধারাবাহিকতায় গ্রেফতার হন পিকে হালদার ও তার সহযোগীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২২
ভিএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।