ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

চুরির অপবাদে ২ ভাইকে নির্যাতনের সময় ফিরে এলো ছাগল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৭ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২২
চুরির অপবাদে ২ ভাইকে নির্যাতনের সময় ফিরে এলো ছাগল

নড়াইল: নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় ছাগল চুরির অপবাদে দুই ভাইকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।


 
রোববার (১৫ মে) সকাল ৮টার দিকে লোহাগাড়া থানার কোটাকোল ইউনিয়নের মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
 
নির্যাতিত যুবকরা হলেন- মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামের রশিদ শেখের ছেলে ফরিদ শেখ (৩০) ও একই গ্রামের রউফ শেখের ছেলে তরিক শেখ (২৩)। তারা পরস্পর চাচাতো ভাই। বর্তমানে তারা লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
 
প্রতক্ষ্যদর্শী ও আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার (১৪মে) রাতে মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামের হাই মুন্সির একটি ছাগল হারিয়ে যায়। ওই ছাগল চুরির অভিযোগে ফরিদ ও তরিককে রোববার (১৫ মে) সকাল ৮টার দিকে ধরে আনা হয়। পরে নান্নু শেখের দোকানের পাশে দুটি গাছে দুইজনকে আলাদাভাবে বেঁধে চালানো হয় নির্যাতন।
 
এসময় কোটাকোল ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবু কালাম মুন্সির নেতৃত্বে নান্নু শেখ, আজমল মুন্সি, ইজাজুল মুন্সি ও রমজান মুন্সিসহ ৪/৫ জন তাদের বাঁশের লাঠি ও মুগুর দিয়ে বেধড়ক পেটায়। এছাড়া বিড়ির আগুন দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছ্যাঁকা দেওয়া হয় বলেও আহতরা অভিযোগ করেন।
 
প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ধরে চলা ওই নির্যাতনের মধ্যে নান্নু মুন্সির বাড়ি থেকে খবর আসে ছাগল বাড়ি ফিরে এসেছে। তখন ফরিদ ও তরিককে ছেড়ে দিয়ে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়।
 
কোটাকোল ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবু কালাম মুন্সি মারধরের কথা স্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম, তবে আমি তাদের মারিনি। ওই ছেলেরা ভালো লোক না। তাদের নামে থানায় চুরির মামলা আছে। সন্দেহ থেকে তাদের মারা হয়েছে।
 
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু হেনা মিলন মারধরের সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, আইন কেউ নিজের হাতে তুলে নিতে পারে না। তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।