ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ছেলের মুখ দেখে যেতে পারলেন না আলমগীর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫২ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২২
ছেলের মুখ দেখে যেতে পারলেন না আলমগীর

রাজশাহী: সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামীকে হারিয়েছেন আগের দিন। সেই শোকে এখনও মুহ্যমান স্ত্রী।

কিন্তু স্বামী হারানোর পরদিনই রহিমার কোলজুড়ে এলো ফুটফুটে সন্তান।

সোমবার (১৬ মে) বিকেলে শোকাতুর পরিবেশই ছেলের জন্ম দিয়েছেন রহিমা। এতদিন গর্ভবতী স্ত্রীকে সযত্নে রাখলেও নবজাতক সেই সন্তানের মুখ দেখে যেতে পারেননি বাবা। তাই শিশুর জন্মোৎসবও আজ ভারি হয়ে উঠেছে স্বজনদের কান্নায়। দীর্ঘশ্বাসই এখন তাদের পুঁজি।

সোমবার দুপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আলমগীর হোসেনের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রাহিমা খাতুনের প্রসব ব্যথা ওঠে। পরে তাকে উপজেলার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিকেলে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন রহিমা। মা ও ছেলে দুজনই সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন রাহিমার বড় ভাই মতলেবুর রহমান।

তিনি বলেন, নবজাতক সন্তানের দিকে তাকিয়ে তার বোন বার বার কেঁদে উঠছেন। স্বামী হারানোর শোক ছেলে জন্ম দেওয়ার আনন্দকেও ম্লান করে দিয়েছে। ছেলে তার বাবাকে আর কোনোদিন দেখতে পারবে না এটাই তার মায়ের মনের একমাত্র কষ্ট। তার বাবা ছেলে হলে ‘আবদুর রহমান’ নাম রাখতে চেয়েছিলেন। তাই বাবার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী ছেলের এ নামই রাখা হয়েছে। কালকে আকিকা দেওয়া হবে।

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার দানগাছি গ্রামের রাহিমা খাতুনের সঙ্গে দেড় বছর আগে বিয়ে হয়েছিল আলমগীর হোসেনের (২৬)।  

গত শনিবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় মোহনগঞ্জ-খড়খড়ি সড়কের রামচন্দ্রপুরহাট এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন আলমগীর হোসেন।

তিনি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের সগুনা গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে। রাজশাহী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলেন আলমগীর। এর আগে তিন বছর আগে অপর এক সড়ক দুর্ঘটনাতে মারা যান আলমগীরের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২২
এসএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।