ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জাল স্ট্যাম্প, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৭ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২২
জাল স্ট্যাম্প, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

ঢাকা: রাজধানীর আশেপাশের এলাকায় জাল স্ট্যাম্প তৈরি করে বিক্রি করা হচ্ছে বৈধ-অবৈধ ভেন্ডারদের মাধ্যমে। এর ফলে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব, অপরদিকে জনসাধারণ এসব জাল স্ট্যাম্প কিনে ভোগান্তিতে পড়ছেন।

শুক্রবার (২০ মে) রাতে রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব-৩) যৌথ অভিযানে অবৈধ জাল জুডিশিয়াল ও নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প রেভেনিউ স্ট্যাম্প, কোর্ট ফি তৈরি চক্রের মূলহোতা ফরমান আলী সরকারসহ (৬০) চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার বাকিরা হলেন- তুহিন খান (৩২), আশরাফুল ইসলাম (২৪) এবং মো. রাসেল (৪০)।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৯ লাখ ৩ হাজার ৫২০ টাকা মূল্যের বিভিন্ন জাল স্ট্যাম্প জব্দ করা হয়। এছাড়া, উদ্ধার করা হয় কার্টিজ পেপার ৫ হাজারটি, মনিটর ১টি, সিপিইউ ১টি, প্রিন্টার ১টি এবং নগদ ৮ লাখ ৮৬ হাজার ৪৬০ টাকা।

শনিবার (২১ মে) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

গ্রেফতারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বলেন, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে জাল জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, রেভেনিউ স্ট্যাম্প সংগ্রহ করে প্রতারণামূলকভাবে বিক্রয় করে লাভবান হয়ে আসছে। তাদের হেফাজত থেকে উদ্ধারকৃত সকল স্ট্যাম্প সংক্রান্তে কোনো ধরনের কাগজপত্রাদি ও সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেনি।

গ্রেফতার হওয়া জালিয়াতি চক্রের মূলহোতা ফরমান আলী সরকার ১৯৯৩ সাল থেকে স্ট্যাম্প ভেন্ডারের ব্যবসা শুরু করেন। জাল স্ট্যাম্পের ব্যবসার কারণে ২০১৭ সালে সিআইডির হাতে গ্রেফতার হন তিনি। তখন কারাভোগ করে জামিনে বের হয়ে আবারো একই অপরাধে জড়ান তিনি। গ্রেফতারের সময় তিনি নিজেকে ভেন্ডার হিসেবে পরিচয় দিলেও জব্দ সকল স্ট্যাম্প সম্পর্কে সঠিক হিসেব দিতে ব্যর্থ হন ফরমান আলী।

গ্রেফতার তুহিন খান অবৈধ জাল স্ট্যাম্প ভ্রাম্যমান দোকানে মতিঝিলের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয়ে ফরমান আলীর সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন। আশরাফুল ইসলাম দুই বছর ধরে ফরমান আলীর সহযোগী হিসেবে কাজ করছিলেন। আর রাসেল প্রায় ৩৪ বছর ধরে এই চক্রে জড়িত হয়ে জাল স্ট্যাম্পের ব্যবসা করে আসছিলেন।

র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, সরকারিভাবে দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং কর্পোরেশন বাংলাদেশ লিমিটেডের গাজীপুর থেকে সকল স্ট্যাম্প সংগ্রহ করার বিধান রয়েছে। কিন্তু চক্রটি অবৈধভাবে জাল স্ট্যাম্প তৈরি, মজুদ ও বিক্রি করে আসছিল। জব্দকৃত স্ট্যাম্পগুলো নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যযুক্ত নয়।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গ্রেফতারদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২২
পিএম/এসআইএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।