ঢাকা, সোমবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ জুলাই ২০২৪, ২৩ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

পদ্মা সেতু: মাদারীপুর থেকে ঢাকায় অফিস করবেন আরিফ

নিশাত বিজয়, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৮ ঘণ্টা, জুন ২, ২০২২
পদ্মা সেতু: মাদারীপুর থেকে ঢাকায় অফিস করবেন আরিফ পদ্মা সেতু | ছবি: ডিএইচ বাদল

পদ্মা সেতু এলাকা থেকে ফিরে: দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ শেষে এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় চলছে শেষ প্রস্তুতি। আগামী ২৫ জুন সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

 

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মধ্য পাঁচ জেলা শরিয়তপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর ও নড়াইলের সঙ্গে ঢাকার দূরত্ব ১০০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার হলেও পদ্মা নদীতে সেতু না থাকায় যাতায়াতে সময় ব্যয় হতো ৬/৭ ঘণ্টার মতো। ঈদের সময় বা দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সময় মাঝেমধ্যে ২৪ ঘণ্টায় পেরিয়ে যেতো পথে।

তবে পদ্মা সেতু, ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেস ওয়ে একই সাথে চালু হওয়ার পর যাত্রাপথে সময় লাগবে ৭০ থেকে ৮০ মিনিট। আর এ কারণেই আশায় বুক বাঁধছেন আরিফ হাওলাদারের মতো ঢাকায় চাকরি করা এ অঞ্চলের বাসিন্দারা।

বুধবার (১ জুন) বিকেলে সেতু দেখতে এসে বাংলানিউজ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলেন মাদারীপুরের আরিফ হাওলাদার। তিনি ঢাকায় থেকে চাকরি করেন কিন্তু পদ্মা সেতু চালু হলে বাড়ি থেকে দেড় ঘণ্টায় কর্মস্থলে যেতে পারবেন বলে প্রত্যাশা তাঁর।

আরিফ বলেন, ‘বাড়ি থেকে দেড় ঘণ্টায় ঢাকায় যাওয়া যাবে। তাহলে ঢাকায় এত টাকা বাসা ভাড়া দেবো কেন? সেতু চালু হলে অফিস শেষে প্রতিদিন বাসায় চলে আসবো। বাসা থেকে ঢাকায় প্রতিদিন যাওয়া-আসা করে অফিস করবো। ’



ঢাকার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা সঞ্জিৎ সাহা মাওয়ার পদ্মা পাড়ে ঘুরতে এবং সেতু দেখতে এসেছেন। জরুরি প্রয়োজনে এবং লম্বা ছুটি পেলে গ্রামে ছুটে যান তিনি। তবে পদ্মা সেতুতে ট্রেন চালু হলে এক ঘণ্টায় ঢাকার মতিঝিল অফিস করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন সঞ্জিৎ সাহা।

তিনি বলেন, ঢাকার মতো দূষিত ও অপরিকল্পিত নগরে অতিরিক্ত খরচ করে সারাজীবন কাটানো লাগবে না, এর চেয়ে বড় কিছু আর পাওয়ার নেই জীবনে।

পদ্মা সেতু চালুর মধ্য দিয়ে দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল উন্নয়ন ঘটতে যাচ্ছে। এতে করে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।

খরস্রোতা-প্রমত্তা পদ্মা নদীর ওপর সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। ২০১৪ সালে নির্মাণ কাজ শুরু হওয়া দ্বিতল এ সেতুর সড়কপথ আগামী ২৫ জুন খুলে দেওয়া হবে। আর ট্রেন চলাচল শুরু হতে আরও কয়েক মাস সময় লাগবে। সেতু কর্তৃপক্ষ আশাপ্রকাশ করেছেন চলতি বছরের ডিসেম্বরেই ট্রেন চলাচলের উপযোগী হবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০২২
এনবি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।