ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

যমুনায় মুহূর্তেই বিলীন ৫ বসতবাড়ি, ২ তাঁত কারখানা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৫ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২২
যমুনায় মুহূর্তেই বিলীন ৫ বসতবাড়ি, ২ তাঁত কারখানা

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার যমুনার ভয়াবহ ভাঙনে মুহূর্তেই নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে পাঁচটি বসতবাড়ী ও দুটি তাঁত কারখানা। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে শত শত ঘরবাড়ি, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ ফসলি জমি।

সোমবার (৬ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার দেওয়ানগঞ্জ পাকা রাস্তায় মাথায় চোখের সামনে কয়েক মুহূর্তেই এসব বসতভিটা বিলীনের ঘটনা ঘটে।  

স্থানীয়রা জানায়, যমুনা নদীতে পানি কখনো বাড়ছে আবার কখনো কমছে। এতে করে নদী তীরবর্তী অঞ্চলে দেখা দেয় ভাঙন। তবে বেশ কয়েকদিন ধরে নদীর পানি স্থিতিশীল থাকায় ভাঙন বন্ধ ছিল। সোমবার দুপুর থেকে হঠাৎ করেই দেওয়ানগঞ্জ পাকা রাস্তার মাথায় ভাঙন শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যেই স্থানীয় কৃষক আমোদ আলী, আবুল কালাম, রুহুল আমিন, ইদ্রিস আলী, তারা মিয়া ও শাহ আলমের বসতভিটা এবং দুই তাঁত কারখানা বিলীন হয়ে যায়।  

বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কালাম মোল্লা জানান, প্রায় এক মাস ধরেই নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের ফলে অনেকটাই ভাঙন কমে এসেছে। এখনও ডাম্পিংয়ের কাজ চলছে। একদিকে জিও ব্যাগ ডাম্পিং হচ্ছে। অপরদিকে হঠাৎ করে ভয়াবহ ভাঙনে পাঁচটি বাড়ি ও দুটি তাঁত কারখানা বিলীন হয়েছে। এতে এলাকাবাসী চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।  

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল ওহাব বলেন, চৌহালীর দক্ষিণাঞ্চলে চরছলিমাবাদ এলাকায় ভাঙনরোধে জরুরি ভিত্তিতে জিওব্যাগ নিক্ষেপ করা হচ্ছে। তবে দেওয়ানগঞ্জের নদী ভাঙনে বসতভিটা বিলীনের বিষয়টি জেনেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।