ঢাকা, সোমবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ মে ২০২৪, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পদ্মা সেতুর পিলার ও কচুরিপানা নিয়েও অভিযোগ হবে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫১ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২২
পদ্মা সেতুর পিলার ও কচুরিপানা নিয়েও অভিযোগ হবে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

ঢাকা: বিএনপিকে ইঙ্গিত করে পদ্মা সেতুর পিলার ও কচুরিপানা নিয়েও অভিযোগ হবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেন, সমালোচনা করতে হলে কনস্ট্রাকটিভ সমালোচনা করেন।

যারা সমালোচনা করবে তারা কচুরিপানা নিয়েও করবে। যদি পিলারে কচুরিপানা আটকে যায় তাহলে তারা বলবে- এমন পিলার বানিয়েছে যে কচুরিপানা যায় না।

শনিবার (১১ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বরিশাল ডিভিশনাল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘পদ্মা সেতু: দক্ষিণাঞ্চলের স্বপ্ন বুনন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর মধ্য দিয়ে অর্থনীতি ও সুখের নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো। সেতুর কাজ শুরু হওয়ার পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ দেশের অনেক তথাকথিত সুশীল এটা নিয়ে নোংরা খেলায় মেতে ওঠেন। তারা বলেন, এখানে দুর্নীতি হচ্ছে, টাকা দিয়েন না।

খালেদা জিয়া ওয়াশিংটন টাইমসে আর্টিকেল দিয়ে বললেন, এটা না করাই উত্তম। বাতিল হয়ে গেল, দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা হলো, হয়রানির শিকার হতে হলো। এগুলোর কারণে এতো বড় প্রকল্প বাতিল হয়ে গেল। তখন সিদ্ধান্ত হলো নিজের টাকায় হবে পদ্মা সেতু। মন্ত্রী পরিষদের অনেক সদস্য, আওয়ামী লীগের অনেক নেতা, দেশের জ্ঞানী-গুণী অর্থনীতিবিদরা এমনকি তৎকালীন অর্থমন্ত্রীও বলেছিলেন নিজের টাকায় পদ্মা সেতু হবে না।
শ ম রেজাউল বলেন, দেশের সার্বিক জিডিপির পাশাপাশি পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পটি কাজ সমাপ্ত হলে তা অতিরিক্ত ১ দশমিক ২৩ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জিডিপি বাড়বে ২ দশমিক ৩ শতাংশ। সেতুটি যোগাযোগের জন্য উন্মুক্ত হলেই দেশের সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হবে।

তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৯টি জেলা সরাসরি সারাদেশের সঙ্গে যুক্ত হবে। ঢাকা থেকে খুলনা, মোংলা, বরিশাল, কুয়াকাটা অর্থনৈতিক করিডোর খুলে যাবে। এ সেতু ঘিরে বিশদ অঞ্চলজুড়ে গড়ে উঠবে নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাই-টেক পার্ক। ফলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট হবে এবং দেশের শিল্পায়নের গতি ত্বরান্বিত হবে।

সেতু ঘিরে পদ্মার দুই পাড়ে পর্যটন শিল্পের ব্যাপক প্রসার এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র। এছাড়া, ভারত, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে সরাসরি সড়কপথে যোগাযোগ আরও উন্নত হবে।

বিএনপিকে উদ্দেশ করে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, যাকে দেখতে পারে না তার চলন বাঁকা। বিএনপির অবস্থা হয়েছে এরকম। উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অপ্রতিরোধ্য গতি দেখে কিছুই করতে না পেরে, তাদের শরীরে অ্যালার্জি হচ্ছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারক রহমানের একটি বক্তব্য টেলিভিশন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরছে। তিনি বলেছেন, কোনোদিন কোনও সরকারের পক্ষে, সর্বাত্মক বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব না। আজকে শেখ হাসিনা দেখিয়েছেন বাংলাদেশে শত ভাগ বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব।

পদ্মা সেতু: দক্ষিণাঞ্চলের স্বপ্ন বুনন শীর্ষক সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল ডিভিশনাল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিডিজেএ) সভাপতি তারিকুল ইসলাম মাসুম, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দা রুবিনা আক্তার মীর, বরিশাল মেট্রোপলিটন চেম্বার প্রেসিডেন্ট ও এফবিসিসিআই পরিচালক মো. নিজাম উদ্দিন, এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান তমাল পারভেজ, বরগুনা পৌরসভা মেয়র অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ, ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, ডিইউজের’র সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ, শিপিং রিপোর্টার্স ফোরাম সভাপতি কাজী জেবেল, অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ সভাপতি নাদিরা কিরণ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২২
এমএমআই/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।