ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নড়াইলে অধ্যক্ষ লাঞ্ছিত: ২ কমিটির একটির রিপোর্ট জমা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩১ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২২
নড়াইলে অধ্যক্ষ লাঞ্ছিত: ২ কমিটির একটির রিপোর্ট জমা

নড়াইল: নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জমা দিয়েছেন।

শনিবার (২ জুলাই) রাত ৮টা ৪৫টায় তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জুবায়ের হোসেন চৌধুরী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের কাছে এ রিপোর্ট জমা দেন।

 

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ১৮ জুন নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজে একটি ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনার বিষয়ে জেলা প্রশাসন থেকে আমাকে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করে দেন। আমরা সেই বিষয়ে তদন্ত সম্পন্ন করে জেলা প্রশাসক স্যারের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছি। তবে প্রতিবেদনে কারা জড়িত বা কাদের নাম এসেছে সেটা বলার সুযোগ নেই। যেহেতু মামলা হয়েছে সেজন্য কারো নাম বলা সম্ভব নয়।  

এদিকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রিয়াজুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত অপর একটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন শনিবার জমা দেওয়ার কথা থাকলেও এ প্রতিদেন লেখা পর্যন্ত তদন্ত কমিটির মিটিং চলছিল।  

এর আগে, ২৮ জুন ওই কলেজের ঘটনায় রোববার (২৬ জুন) অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জুবায়ের হোসেন চৌধুরীর নেৃতৃত্বে তিন সদস্য এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রিয়াজুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

ওই কলেজের একাদশ শ্রেনির ছাত্র রাহুল দেব রায় নিজের ফেসবুক আইডিতে নূপুর শর্মার ছবি ব্যবহার করে লেখেন ‘প্রণাম নিও বস ‘নূপুর শর্মা’ জয় শ্রীরাম। এ পোস্ট দেওয়ার পর ১৮ জুন সকালে কলেজে আসেন রাহুল। এরপর তার বন্ধুরা পোস্টটি মুছে ফেলতে বললেও পোস্ট মুছেননি রাহুল। শিক্ষার্থীরা বিষয়টি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে জানান। একপর্যায়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কলেজের সব শিক্ষকদের পরামর্শে রাহুলকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এরই মধ্যে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে কলেজ চত্বরে থাকা শিক্ষকদের তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জসহ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ছোঁড়ে। এ ঘটনার সময় ২ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। এ সময় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দোষীদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। একপর্যায়ে পুলিশ ও কর্মকর্তাদের সামনে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর গলায় জুতার মালা পরিয়ে কলেজ থেকে বের করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩১ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ