ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

খুলনায় বর্জ্য থেকে তরল জ্বালানি উৎপাদন প্ল্যান্টের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২২
খুলনায় বর্জ্য থেকে তরল জ্বালানি উৎপাদন প্ল্যান্টের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

খুলনা: পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘থ্রি-আর পাইলট উদ্যোগ বাস্তবায়ন (ফেজ-১)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় খুলনায় কম্পোস্ট প্ল্যান্ট ও প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে তরল জ্বালানি উৎপাদন প্ল্যান্ট নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। রোববার (৩ জুলাই) দুপুরে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার মাথাভাঙ্গায় এই ভিত্তিপ্রস্তর করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নগর কর্তৃপক্ষের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় খুলনা সিটি কর্পোরেশন কাজ করছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন আধুনিক নগরী গড়তে  কেসিসি অত্যন্ত আন্তরিক। নগরীতে উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এখনও গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। তবে আমাদের চেষ্টার কমতি নেই। নগরবাসীর মাঝে সচেতনতার অভাব রয়েছে। ময়লা-আবর্জনা কোথায় ফেলতে হবে সে বিষয়ে তারা চিন্তা করেন না। অনেকেই বাড়ির ময়লার লাইন ড্রেনে সংযোগ করে দিয়েছেন। নগরবাসীকে সব বিষয়ে সচেতন হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আবর্জনা শুধু পরিষ্কার করলেই চলবে না, বর্জ্যকে ব্যবস্থাপনার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। বর্জ্যহ্রাস, পুনঃব্যবহার, পুনঃচক্রায়নের মাধ্যমে এ বিষয়ক কর্মকাণ্ডকে আধুনিক ব্যবস্থাপনার আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। এই প্রকল্পটি বাস্তাবায়নে কেসিসি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন  কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম এবং ওয়েস্ট প্ল্যান্ট ও প্লাস্টিকের ম্যানেজিং পার্টনার মাকসুদ সিনহা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক ইকবাল মো. শামীম।

উল্লেখ্য, দুই একর জায়গার ওপর ৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এটি বাস্তবায়িত হলে বর্জ্য থেকে প্রতিদিন ২০ টন কম্পোস্ট এবং প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে প্রতিদিন ০.৫ টন তেল উৎপাদন হবে। এছাড়া এই প্লান্টের মাধ্যমে দূষিত পানি পরিশোধন করে সার উৎপাদনে ব্যবহার করা হবে। আশা করা হচ্ছে আগামী বছরের ৬ জানুয়ারির প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে।

এই প্রকল্পের মূল্য উদ্দেশ্য বাংলাদেশের বর্জ্য হ্রাস, পুনঃব্যবহার ও পুনঃচক্রায়ণের উদ্যোগকে এগিয়ে নেওয়া, সরকারি এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পুনঃ প্রক্রিয়াকরণ ও  ভূমিভরাট এলাকায় বর্জ্যের পরিমাণ হ্রাস করা।

এর আগে মেয়র নগরীর জোড়াগেটে নগরীর একমাত্র কোরবানির পশুর হাট উদ্বোধন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২২
এমআরএম/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।