রাজশাহী: রাজশাহীর চাঞ্চল্যকর সানি হত্যা মামলার প্রধান আসামি মঈন ওরফে আন্নাফসহ আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৫। কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট থানার প্রতাপ গ্রামের মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বিদ্যুতের বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
সানি হত্যার পর তারা আত্মগোপনে চলে যান এবং দেশের বাইরে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। তবে তার আগেই র্যাব-৫ তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সানি হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. মঈন ওরফে আন্নাফ (২০), তার মা মোসা. বিথী (৩০) ও তাদের সহযোগী হাবিবা কুমকুম ওরফে সাবা ঐশী (১৯)। হাবিবা কুমকুম ওরফে টিকটক ঐশী এ ঘটনার নেপথ্যে ছিলেন।
শুক্রবার (৮ জুলাই) বিকেলে র্যাব-৫ এর সদর দফতরে এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে র্যাব-৫ এর শীর্ষ কর্মকর্তা এ অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার।
র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার বলেন, আন্নাফের নেতৃত্বে একটি কিশোর গ্যাং পরিচালিত হতো। পূর্ব শত্রুতার জেরে গত ৩ জুলাই রাতে সানিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায় আন্নাফ, সিফাত। ওই সময় টিকটক সাবা ঐশীও তাদের সঙ্গে ছিলেন।
ওই রাতে রাজশাহী মহানগরের হেতেমখাঁ সবজিপাড়া এলাকায় আন্নাফ তার আরও সহযোগিদের নিয়ে একটি মসজিদের পাশের রাস্তায় সানিকে উপর্যপুরী কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে। পরে আন্নাফের মা বিথী রাজশাহী নগরের লক্ষ্মীপুর মোড়ে অবস্থিত খান বাংলা রেস্টুরেন্টের মালিক মো. খোকনের সহযোগিতায় একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করেন।
সেই মাইক্রোবাসে করে তারা ওই রাতে রাজশাহী ছাড়েন। তারা প্রথমে ঢাকার নারায়ণগঞ্জ ও পরে গাজীপুর হয়ে কুড়িগ্রামে পালিয়ে যান। কুড়িগ্রামে তারা বিদ্যুৎ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রয় নেন এবং সেই বাড়ি থেকে র্যাবের একটি টিম তাদের আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সানি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন।
এর আগে গত ৬ জুলাই একই মামলায় শাহীকে (১৯) ঢাকা মহানগরীর শ্যামলী থেকে ও রাহিমকে (১৯) নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৫)। শাহী রাজশাহী মহানগরের হেতেমখাঁ এলাকার শফিকের ছেলে ও রাহিম একই এলাকার মৃত সোহেলের ছেলে। এর আগে সর্বপ্রথম গত ৫ জুলাই আনিম (১৮) নামে অপর এক আসামিকে গ্রেফতার করে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ।
সানি হত্যা মামলায় আসামিরা হলেন- মঈন ওরফে আন্নাফ, তার মা রাজশাহী মহানগর মহিলা দলের ক্রীড়া সম্পাদক বিথী, সিফাত, রাহিম, সোহরাব খান লাল, শাহী, শিউলি ও অনিম। এর বাইরে অজ্ঞাত আরও অন্তত ৯/১০ জনকে হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০২২
এসএস/আরবি