ঢাকা : অ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক পুঁজি করে সরকারি প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ভ্যাকসিন নিয়ে রমরমা ব্যবসা ফেঁদে বসেছে একটি চক্র।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, ওই প্রতিষ্ঠানের কতিপয় কর্মচারী যোগসাজশে ভ্যাকসিনগুলো সাধারণ ভূক্তভোগী মানুষের কাছে পৌঁছানোর পরিবর্তে ৪/৫ গুন বেশি দামে বিক্রি করছে ফার্মেসীতে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এক বোতল অ্যানথ্রাক্স প্রতিষেধক দিয়ে এক শ’ গরুর টিকা দেওয়া যায়, যার প্রকৃত মূল্য পঞ্চাশ টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফার্মেসি মালিক বাংলানিউজকে জানান, প্রতিষ্ঠানটির ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান মোজাম্মেল হক ও শাহ আলম সেপ্টেম্বরের ১৩ তারিখে ৪৪৯৭২০১ নং রশিদের মাধ্যমে ১৬০০ গরুকে দেওয়া যায় এমন ১৬ বোতল অ্যানথ্রাক্সের টিকা প্রকৃত মূল্যের চেয়ে ৪ গুন বেশি ৩২০০টাকা দামে বিক্রি করেছে। যার প্রকৃত মূল্য আটশত টাকা।
ক্রেতা সেজে পুরান ঢাকার নিমতলীর ফার্মাভেট এন্টারপ্রাইজ-এ অ্যানথ্রাক্সের টিকা কেনার জন্য ফোন করা হলে ওই প্রতিষ্ঠানের হারেজ মিয়া জানান, মহাখালীস্থ প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে ৪০০ টাকা দিয়ে এক বোতল টিকা কিনে এর চেয়ে বেশি দামে যার কাছে যেমন পাই তেমন বিক্রি করি।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকের সহকারী আনোয়ার নামে একজন ওই ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন বলে তিনি জানান।
প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই প্রতিষ্ঠানের ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান মো. আনোয়ার, যিনি প্রেশনে পরিচালকের দপ্তরে কর্মরত থেকে অবৈধ পন্থায় টিকা বিক্রয়ের ব্যবসা করছেন।
আনোয়ার সেপ্টেম্বরের ১৬ তারিখে ৪৪৯৭২৭৩ নং রশিদে একজন পশু সম্পদ কর্মকর্তার নাম ব্যবহার করে চার বোতল টিকা তোলেন। পরবর্তী সময়ে ওই টিকাগুলো ১৬ শ’ টাকায় পুরান ঢাকার একটি ফার্মেসির কাছে বিক্রি করেন, যার সরকার নির্ধারিত দাম ২০০টাকা।
এভাবে অবৈধ উপায়ে টিকা তুলে তিনি আরও অনেক ফার্মেসিতে বিক্রি করেন বলে প্রতিষ্ঠানের অনেক কর্মচারীর কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বিশ্বনাথ মালাকার বাংলানিউজকে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময় : ২২০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১০