ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের ত্রিশালে ট্রাকচাপায় অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ এক পরিবারের তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেফতার হয়নি। এ নিয়ে মিশ্র প্রক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার ও সচেতন মহলে।
এ ঘটনায় রোববার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় অজ্ঞাত আসামি করে ত্রিশাল থানায় মামলা দায়ের করেছেন নিহত অন্তঃসত্ত্বা নারীর শ্বশুর মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু।
সোমবার (১৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় ত্রিশাল থানার ওসি (তদন্ত) মো. আবু বকর সিদ্দিক বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ঘাতক ট্রাকটি থানা হেফাজতে জব্দ থাকলেও চালক পালিয়েছে, তাকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। তবে ইতোমধ্যে ঘাতক ট্রাক চালক ও মালিকের পরিচয় জানতে পেরেছি।
জানা যায়, ওই ট্রাকচালকের নাম মো. মঞ্জুর রহমান। তিনি রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার মৃত মোনতাজ আলীর ছেলে। পেশায় তিনি আম ব্যবসায়ী। ঘটনার সময় আম ও পেঁয়াজ বোঝাই ঘাতক ট্রাকটি ময়মনসিংহের নান্দাইল চৌরাস্তায় যাচ্ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত পথে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন ট্রাক মালিক মঞ্জুর রহমান।
তিনি আরও বলেন, আমি একজন ব্যবসায়ী, আমার ট্রাকের বৈধ কাগজপত্র আছে। অপ্রত্যাশিতভাবে এই ঘটনা ঘটেছে। এজন্য আমি মর্মাহত। কারো জীবন ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা আমরা নেই। তবে আমি ওই পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চাই। ওই শিশুটির জন্য আমারও মন কাঁদছে।
এর আগে শনিবার (১৬ জুলাই) বিকেলে উপজেলার রাইমনি গ্রামের ফকির বাড়ির মোস্তাফিজুর রহমান বাবলুর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪০), তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রত্না বেগমের (৩০) আল্টাসনোগ্রাফি করাতে ত্রিশালে আসেন। এসময় তাদের সঙ্গে সানজিদা (৬) নামে তাদের এক মেয়ে ছিল। পৌর শহরের খান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় ময়মনসিংহগামী একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই জাহাঙ্গীর আলম, স্ত্রী রত্না বেগম মারা যায় এবং মেয়ে সানজিদা আক্তার গুরুতর আহত হয়। এসময় ট্রাক চাপায় রত্নার পেট ফেটে জন্ম নেয় এক কন্যা শিশু।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২২
আরএ