ঢাকা, শনিবার, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২৮ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

আক্কেলপুরে ১৪ ঘণ্টা পর মিলল একতা ট্রেনের যাত্রীর মরদেহ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১২ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২২
আক্কেলপুরে ১৪ ঘণ্টা পর মিলল একতা ট্রেনের যাত্রীর মরদেহ 

জয়পুরহাট: ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের এক কিশোর যাত্রী রোববার (১৭ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৬টায় জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার হলহলিয়া লোহার রেলসেতুতে ধাক্কা লেগে তুলসীগঙ্গা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়েছিল।  

ঘটনার সাড়ে ১৪ ঘণ্টা পর সোমবার (১৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টায় তুলসীগঙ্গা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।

নিহত ওই কিশোরের নাম মেহেদী হাসান (১৭)। সে পঞ্চগড় সদর উপজেলার রাজমহল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। সান্তাহার রেলওয়ে থানার উপ-পরির্দশক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন নিহত কিশোরের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।

রেলওয়ে থানা পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কিশোর মেহেদী হাসান তার দাদি শাহেরা খাতুনের সঙ্গে পাবনার আটমাইল আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। তারা রোববার নাটোর স্টেশনে এসে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়েন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ট্রেনটি জাফরপুর রেলস্টেশন অতিক্রম করে হলহলিয়া রেলসেতুতে ঢুকে পড়ে। এ সময় মেহেদী হাসান রেলসেতুতে ধাক্কা খেয়ে ডান হাতের কব্জি ছিঁড়ে সেতুর গার্ডারে আটকে থাকে। পরে রেলসেতুর নিচে পড়ে সে নিখোঁজ হয়। ট্রেনটি রেলসেতু অতিক্রম করার পর স্থানীয় লোকজন রেলসেতুতে এসে ডান হাতের কব্জি, ম্যানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন দেখতে পান।  এরপর তারা ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশকে ঘটনাটি জানায়। খবর পেয়ে আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাবিবুল হাসান ও আক্কেলপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি দল ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা রোববার রাত সাড়ে ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত হলহলিয়া রেলসেতুর নিচে তুলসীগঙ্গা নদীর দুই পাশের আধা কিলোমিটার পর্যন্ত খুঁজে লাশের সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত ঘোষণা করেন। পরে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দিলে সোমবার সকালে তারা ঘটনাস্থলে এসে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তুলসীগঙ্গা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

আক্কেলপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে রোববার রাতে আমরা হলহলিয়া রেলসেতুতে গিয়ে কিছু আলামত পেয়ে লাশের খোঁজে তুলসীগঙ্গা নদীতে অভিযান শুরু করেছিলাম। রাত ১০টার পর উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়েছিল। পরে সোমবার সকালে রাজশাহীর ডুবুরি দল এসে তুলসীগঙ্গা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।  

নিহত মেহেদী হাসানের চাচা আসাদ হোসেন বলেন, ভাতিজা মেহদী হাসান দাদির সঙ্গে পাবনা আটমাইলে আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। একতা এক্সপ্রেস ট্রেনে পঞ্চগড় ফেরার পথে হলহলিয়া রেলসেতুতে ধাক্কা লেগে নদীতে পড়ে যায়। আমরা খবর পেয়ে এখানে এসেছি।  

আক্কেলপুরের ইউএনও হাবিবুল হাসান বলেন, সোমবার সকালে রাজশাহী থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্য এসে মেহেদী হাসানের মরদেহটি উদ্ধার করেছে।  

সান্তাহার রেলওয়ের থানার উপ-পরির্দশক (এসআই) দোলোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনার প্রায় সাড়ে ১৪ ঘণ্টা পর মরদেহটি উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনায় ইউডি মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।